আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিবার ভাবি- ইয়াহিয়া তোমায় আসামির মতো জবাব দিতে হবে' গানটাতে 'ইয়াহিয়া' শব্দটা চেঞ্জ করে আবার গাই

নামটা আমার লম্বা বটে তবে কখা বলি শর্টকার্ট মুক্তিযুদ্ধকালের গান- 'সোনার বাংলা শ্মশান করল কে? । । ইয়াহিয়া তোমায় আসামির মতো জবাব দিতে হবে' শুনলে আজও শরীরের প্রতিটি লোমে শিহরণ অনুভব করি, আর ভাবি গানটাতে 'ইয়াহিয়া' শব্দটা চেঞ্জ করে আবারও ওপেন মঞ্চে গাওয়ার সময় বুঝি হয়ে এল। কারণ সোনার বাংলা শ্মশান হওয়ার ধারা গত ৪১ বছরেতো থামেইনি, বরং তা ক্রমহারে বেড়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকালে ২ ডিজিট ( কম্বল আর লবন চুরি ), এরশাদের আমলে তিন ডিজিট ( শতকোটি টাকা চুরি ), চারদলের শাসনামলে চার ডিজিট ( হাজার কোটি টাকা চুরি ও পাচার ) এবং মহাজোট সরকার আমলে মহাডিজিট (এখনো পর্যন্ত অফ দ্য রেকর্ড সরকারি হিসেবেই সোয়া লাখ কোটি টাকা পাচারের কথা স্বীকার করা হয়েছে ) স্টাইলে শ্মশান রূপান্তরিকরণের মহোৎসব চলছে।

অংকের হিসেবে অনেকেই বলবেন, আরে ভাই তারেক-কোকোর আমলে যে টাকা পাচার হয়েছে তার বাজার মূল্য কিন্তু ছিল অনেক। কিন্তু ভাই মহাজোট আমলের চারটি জাতীয় বাজেট হয়েছিল, যার মোট পরিমাণ সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা, তাহলে তা খেকে যদি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকাই চুরি হয়ে যায়, তবে সোনার দেশতো বটেই হিরের দেশওতো শ্মশান হওয়ার বাকী থাকে না। কেন ভাই? ইয়াহিয়া আইয়ূবদেরতো জন্মই হয়েছিল এদেশটাকে শ্মশান করার জন্যে, তারা তাদের টার্গেট ফুলফিল করেছে। তারা ভিনদেশি বেনিয়া লুটেরা এদেশের টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে, তাদের খতম করতে তিরিশি লক্ষ প্রাণ ঝড়ে গেছে। কিন্তু এরশাদ, তারেক-কোকো, মহাজোটের মহানেত্রি, মহাকন্যা, মহা ভগ্নি, মহা পুত্র এবং অন্যান্যরা কেন আজ চুরি করবে? পাচার করবে? তারা এসব টাকা তারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? ইয়াহিয়া আইয়ূবরা এদেশের টাকা নিয়ে তাদের দেশের মানুষের কাজে ব্যায় করেছে বলে ধরা যায়।

কিন্তু আমাদের দেশিয় চোর আর পাচারকারীরা ওইটাকা দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া আর কী করবে? তাছাড়া ইনডেমনিটি দিয়ে দূর্ণীতি আর লুটপাটের নজির পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কি না জানি না। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের নেতারা কিন্তু অহরহ অমুক তমুকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শ্লোগান দেয়। হিসেব করে দেখেন- গত চল্লিশ বছরে শুধু আমাদের জাতীয় সংসদে প্রয়াত যেসব নেতার নাম উচ্চারণ করে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লেকচার মারা হয়েছে তার মোট রেকর্ডেড সময়সূচি কত? একমিনিট পার্লামেন্ট চললে নাকি ব্যয় হয় কত লক্ষ টাকা, তাহলে নেতাবৃন্দের নাম, স্বপ্নের বিবরণ দিয়ে যে অর্থের অপচয় করা হয়েছে, তাও কি জনগণের কল্যাণে ব্যয় হয়েছে? তাদের চুরি আর লুটপাটের কোন পর্যায়ে জেগে উঠবে তিরিশ লক্ষ প্রাণ? হিসাব বড় জটিল, যতবার ভাবি আসামীর তালিকা তত দীর্ঘ হয়। তখনই মনে হয়, গানটি আবার গাই---- অমুক তোমায় আসামির মতো জবাব দিতে হবে। যার যে নাম হিসেবে মিলে যায় নামটি বসিয়ে অমুক শ্বদটি চ্যাঞ্জ করে দিয়েন।

আসছে- 'কর্ণেল তাহেরের আত্মদান, বিচারের বিচার এবং আইসিটি কোর্ট' ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.