প্রজন্মের হাত ধরে জাগরণের পথে
"আরব্যরজনী" লেখা হয়েছিল এক চরম পরনির্ভরশীল পরাবাস্তব কল্পনা থেকে। আলাদীনের দৈত্য বা সিনবাদের আগমন ছাড়া সংকট উত্তরণের সম্ভাবনা যেখানে অলীক! আধুনিক পুঁজিবাদী-ভোগবাদী সমাজে "আরব্যরজনীর" সেলুলয়েড চিত্রায়ন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। আবার কোন একটি সময়কে তুলে ধরে উত্তরণের বিকাশের ধারা বোঝানোর প্রয়াসও না। বরং 'আরব্যরজনী'র বাস্তব চিত্রায়নের পদ্ধতিগত দিক সেলুলয়েড চিত্রায়ন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণ একটু রুষ্ঠ হয়ে বা একটু তাচ্ছিল্যতা দেখিয়ে বলতেই পারে, যে রুপকথার গল্পে তাদের ছিঁকে ছিড়বেনা।
কিন্তু নিজের অজান্তে কখন যে তারা নিজের ভিতরে আলাদা এক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে তা আজ ঢাকা শহরের সামাজিক বাস্তবতা দেখলেই বোঝা যায়। পৃথিবী বিভক্ত ২৩২টি রাষ্ট্রে। ঢাকা শহর বিভক্ত ২৫ লক্ষ পারিবারিক রাষ্ট্রে।
আলাদীনের দৈত্য বা সিনবাদের প্রতিক্ষায় থাকা এই নগরবাসীর ঘুম অচীরেই ভাঙবে। আলাদীনের দৈত্য এই পথ না চিনলেও আমেরিকান দৈত্য (ড্রোন) এই পথ ঠিকই চিনেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।