চেনা দুঃখ চেনা সুখ চেনা চেনা হাসি মুখ
'মরতে পারে না স্পাইডারম্যান । সে ফিরে আসবেই। ' কোটি কোটি ফ্যানের বদ্ধমূল ধারণা ।
স্পাইডারম্যান মানেই বিপদে মুশকিল আসান। স্পাইডারম্যান মানেই অন্ধকারে আশার আলো।
স্পাইডারম্যান মানেই পিটার পার্কার নামে সেই সরল ছেলেটার চোয়ালচাপা অনমনীয় জেদ আর লড়াই। কিন্তু দুনিয়াকে কাঁদিয়ে চলে গেল স্পাইডারম্যান। তার ৫০ বছরের লড়াই শেষ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ে নিহত হল দুনিয়ার জনপ্রিয়তম যোদ্ধা এই মাকড়সা মানুষ। চিরশত্রু ডক্টর অক্টোপাসের ধূর্ত কৌশলের কাছে হার মানল সে।
ডক্টর অক্টোপাসের হাতেই অকাল মৃত্যু হল স্পাইডারম্যানের। অশুভের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে শুভ শক্তির এই পরাজয় কেউ মেনে নিতে পারছে না। ২৬ ডিসেম্বর মৃত্যু হয়েছে স্পাইডারম্যানের। পরদিন দুনিয়া জুড়ে শোক পালন করেছে তার ফ্যানরা। কিন্তু কেন? গতকালই প্রকাশিত হয়েছে স্পাইডারম্যান সিরিজের নতুন কমিক্স “অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান নম্বর ৭০০”।
এই গল্পেই মৃত্যু হয়েছে তার।
নিউ ইয়র্কের অলিখিত ‘দাদা’ স্পাইডারম্যানের নয়া সংস্করণটি প্রকাশ করেছে এই কাল্পনিক চরিত্রটির জন্মদাতা মার্ভেল কমিক্স। কিন্তু নয়নের নীলমণির এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে না পেরে আবালবৃদ্ধবনিতা মিছিল করে বিক্ষোভ দেখাল মার্ভেল প্রকাশনার অফিসে। সুপারহিরো কি যা তা নাকি? দুনিয়া জুড়ে তার একটা মাস বেস রয়েছে। প্রভু যিশুর মতো তাঁকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে কোটি কোটি জনতা।
ঈশ্বরের বরপুত্র হিসেবে মানে তাকে। মেরে ফেললেই হল?
“ব্যবসার জন্য যা খুশি করতে পারে না কেউ। ” চার বছরের ডেভিডকে কোলে নিয়ে নিউ ইয়র্কের টিভি চ্যানেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাইট দিলেন বাবা ৩৬ বছরের রিচার্ড। সাফ কথা, “জ্ঞান হওয়ার পর থেকে কাগজে, বইয়ে পড়ে আসছি স্পাইডারম্যানকে। এখনও ভালবাসি।
মেরে ফেললেই হল?”
১৯৬২ সালে “অ্যামেজিং ফ্যানটাসি নম্বর ১৫” কমিক্স দিযে যাত্রা শুরু স্পাইডারম্যানের। অভিনেতা টবি ম্যাগুইরির সরল ছেলেমানুষ মুখটাই পরে স্পাইডারম্যানের ব্র্যান্ড ইমেজ হয়ে যায়। স্পাইডারম্যান থুড়ি পিটার বেঞ্জামিন পার্কার মানেই টবি ম্যাগুইরি। হলিউডের অন্যতম লভেবল্ আইকন। তামাম দুনিয়ার কিশোরী ও যুবতীদের হার্টথ্রব।
কিন্তু ঠিক ৫০ বছরের মাথায় সৃষ্টিকে ঠাণ্ডা মাথায় কেন মারলেন স্রষ্টা ডান স্লট? সদুত্তর মেলেনি।
স্পাইডারম্যানের প্রথম দুই স্রষ্টা তথা শিল্পী স্ট্যান লি ও স্টিভ ডিটকো তো এটা কখনও ভাবেননি। অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান নম্বর ৭০০-তেই ডক্টর অক্টোপাসের বিরুদ্ধে মুখোমুখি যুদ্ধে নিহত হয়েছেন পিটার পার্কার।
সিএনএন কে দেওয়া ডান স্লটের ব্যাখ্যা, “গল্পের এখানেই তো মোচড়। ধরুন শার্লক হোমসের দেহের মধ্যে যদি শয়তান মরিয়ার্তি ঢুকে যায়! বা রবিন হুডের দেহে বাসা বাঁধে প্রিন্স জন! তারপর যদি সেই রূপান্তরিত আত্মা প্রযুক্তির উপর ভর করে মানুষের ভালর জন্য কাজ করতে যায় তাহলে কেমন হবে? এখানেও তাই।
স্পাইডারম্যানকে মেরে ফেলে ডক্টর ওটো অক্টোপাস তার দেহের দখল নেয় এবং শুভ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ মানুষটার শরীর রইল কিন্তু আসল মানুষটা রইল না। এদিকে অক্টোপাসের শয়তানি স্বভাবেরও বদল ঘটল। এমনকী শরীর বদলানোয় স্মৃতি শক্তি, অতীত, অভিজ্ঞতাও আর কিছু মনে রইল না অক্টোপাসের। সেই’ই হয়ে গেল আসল স্পাইডারম্যান! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।