ঝালকাঠির রাজাপুরের একটি হিন্দু বাড়ীতে হানা দিয়ে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছে যুবলীগ নেতা। যুবলীগের ডাকাত বাহিনী নিয়ে আমাদের বিশ্বাসবাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে হাসিনা সেনারা। বিশ্বাসবাড়িতে আট বছরের শিশু সুপ্রিয়া যখন এদের হামলা থেকে রেহাই পায়না, তখন ড শেখ হাসিনা তার নাতনী নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলেন। এনকাউন্টার আসাদুজ্জামান নূর মিকেল এঞ্জেলো দাড়ি ঝাঁকিয়ে সেক্যুলার কবিতা পাঠ করে্ন।
এই যুবলীগের সঙ্গে জামাতের পার্থক্য কোথায়? নাকি ইসলামী ব্যাংকের ফটোসেশনে নেত্রীকে দেখে মনে হলো, বিশ্বাসবাড়িতে হানা দেয়া যায়, অসুবিধা কী আমরা আমরাই তো।
কয়েকটি যুদ্ধাপরাধীর ফসিলের ফাঁসি দিয়ে, প্রতীকী সুবিচারযজ্ঞ সেরে উহাদের যুবজামাতলীগ হয়ে যেতে অসুবিধা কথায়। এই ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে ঘটছে। হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদের জঙ্গী অভিযানের প্রতিটি হামলায় আওয়ামী লীগের বড় টুকু থেকে খলসে টুকুর জড়িত থাকার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া গেছে।
নিজের দল যারা চালাতে পারেন না; তাদের দেশ চালানোর অধিকার নেই। রামুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের প্রকাশ্যে উস্কানী মূলক বক্তৃতা দেয়ার প্রমাণ আছে।
এলাকার সাংসদের নীরব সম্মতিসূচক ঘুমিয়ে যাবার প্রমাণও আছে।
বিশ্বাসবাড়িতে যুবলীগ হামলা করার পর মানুষ আর কোন আক্কেলে আওয়ামী লীগকে
বিশ্বাস করবে? পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্যটা এখন কোথায়? আট বছরের শিশু সুপ্রিয়াকেও যে বর্বর আদিম যুবলীগ আঘাত হানতে পারে তারাতো তো জঙ্গী জামাতুল আওয়ামীলীগীন। আজ ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছেড়ে দিয়ে পার্টি অফিসে চেতনার চৌকিদার হয়ে বসে থেকে আর কোন লাভ আছে কী? ওই জঙ্গীবাদের জুজুর ভয় দেখিয়ে নিজেরাই জঙ্গী কর্মকান্ড ঘটিয়ে বেড়াচ্ছে যুবলীগ-ছাত্র লীগ-নাপিত লীগ; কোন মুখে গণভবনের বাগানে সুপ্রিয়াকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভাষণ রত্ন তার নবরত্ন সভা নিয়ে আটখানা হাসেন। রাজপুত্রের জন্য পোলাও রাঁধেন; যেন মহারাণী ভিক্টোরিয়া পোলাও রেঁধে, ওমরাহ করে, নামাজ পড়ার ছবি আপলোড করে, মুখে আমি নামাজ পড়ি, কুরান পড়ি বলে বলে উনি নিজেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালুর মজিদ হয়ে উঠেছেন। আশে পাশে ফগা ভক্ত-জঙ্গী-আশেকান।
তার মানে কোন কিছুতেই আর কিছু এসে যায় না মহারাণী হাসিনার; উনি ইংলন্ডের রাণী হয়েছেন আর কী? এখান থেকে আমাদের সবার কিন্তু শেখার আছে; একজন যোগ্যপিতার ফাঁপা উত্তরসূরী রেখে যাওয়ার চেয়ে বড় ট্রাজেডী আর হয়না।
তো তাহলে অন্যধর্মের মানুষদের যে দেশ থেকে সর্বদলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে উচ্ছেদ চলে, দেশরত্ন ব্যস্ত থাকেন বাকিং-হাম গণ প্যালেসের গোপাল ভাঁড়ের আসরে; সেটা যে ভঙ্গুর গণতন্ত্র আর কুশাসনের দেশ সেটাতো প্রমাণিত। তাহলে এখন আর আওয়ামী লীগের স্নিগ্ধ বুদ্ধিজীবীদের অযথা অসাম্প্রদায়িকতা রেটোরিকস চর্বনের দরকার নাই। আর ঐ গলা কাঁপিয়ে বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙ্গালী বলে রঙ্গমঞ্চে কাঁদাকাটির দরকার নাই।
আরব-কন্যা শেখ হাসিনার দিনবদলের এই মদিনা সনদ আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদের ন্যায় বিচারের মদিনা সনদ নয়; এহচ্ছে আদিম সনদ; যুবলীগের ছেলেরা যখন দাঁড়াইয়া মলত্যাগ করে।
আইয়ামে যুবলীগ জাহেলিয়াত।
আশা করছি বাংলাদেশ তারুণ্য শুধু আত্মকেন্দ্রিক মানুষের মত নিজের আটবছরের শিশুকেন্দ্রিক না হয়ে যুবলীগের হামলার শিকার সুপ্রিয়াকে নিজের মেয়ের জায়গায় রেখে বিষয়টা নিয়ে ভাববেন। এই ধর্মের মুখোশে ডাকাতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুচেতনার ব্যারিকেড গড়ে তুলবেন।
সুপ্রিয়ার নির্যাতনের শিকার বাবার সম্ভাব্য ভাবনাঃ মগবাজার-গণভবন-গুলশান-বারিধারায় চারটি বাড়িতে আর হাটহাজারী ও সাতক্ষীরায় আরো দুটি; মোট ছটি ড্রোনের ব্যবস্থা করা যায় খুব সহজেই। বিশ্বাসবাড়িতে যুবলীগের হামলার পর সুপ্রিয়ার বাবার কিন্তু তাই করতে ইচ্ছা হবে।
ছোট খাট মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহারাণীর স্ট্যাচু অফ তালগাছে দড়ি ধরে টান মারা কিন্তু ড্রোনের মতই বিপজ্জনক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।