আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ল্যাবেই তৈরি হবে নাক-কান!

দুর্ঘটনায় নাক হারিয়েছেন, অথবা কান? দুঃশ্চিন্তা নেই, হুবহু নকল আরেকটি লাগিয়ে দেওয়া হবে! আর এসব নাক-কান তৈরি হবে ল্যাবরেটরিতে। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্য। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী।

লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রীট হাসপাতালের ডাক্তাররা মানব শরীরের স্টেম সেল বের করে কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি বিকশিত করে ফেলেছেন। তারা আশা করছেন, জন্ম থেকে মাইক্রোটিয়া রোগের শিকার রোগীদের উপর ও দুর্ঘটনাগ্রস্থ লোকেদের নাক ও কান তৈরি করতে এটি কাজে দেবে৷

মাইক্রোটিয়ায় শিকার ব্যক্তিদের জন্ম থেকেই কানের বাইরের অংশ ঠিক করে বিকশিত হয় না৷ আর প্রতি বছর বিশ্বে হাজারো শিশু জন্মগ্রহণ করে যারা জন্ম থেকেই মাইক্রোটিয়ার শিকার৷ বর্তমানে এই ধরনের রোগের শিকার ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসকেরা শিশুদের তরুণাস্থি ব্যবহার করে কান তৈরি করে প্রতিস্থাপন করেন৷ এখন এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে ডাক্তাররা শিশুর শরীর থেকে ছোট মাপের মেদের টুকরো বের করবেন৷ এই টুকরো থেকেই স্টেম সেল বের করে তা বিকশিত করা হবে। কানের আকারের একটি কাঠামো স্টেম সেলের সলিউশনে রাখা হবে৷ এতে কোষগুলি কাঠামোর আকারই ধারন করবে৷ এই প্রক্রিয়ায় রসায়নের ব্যবহারের মাধ্যমে স্টেম সেলকে কার্টিলেজ সেলে রূপান্তরিত করা হবে৷

গ্রেট অরমন্ড স্ট্রীট হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জন নীল বুলস্ট্রোড জানিয়েছেন, এটি সত্যিই রোমাঞ্চকর যে, বাস্তবে স্টেম সেলের সাহায্যে কার্টিলেজ তৈরি করা যেতে পারে৷ এটি সত্যিই খুব বড় এক উপলব্ধি৷

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.