সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, ঈদে আযম ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করা বান্দা বান্দির জন্য ফরজ ওয়াজিব উনার অন্তভুর্ক্ত,এবং যা বান্দা বান্দির জন্য রহমহ বরকত ছাকিনা নাজাত লাভের অন্যতম নেয়ামত পুণ আমল যা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য জমা কৃত আমলের চেয়ে অধিক অধিক উত্তম যা কখনো কোন কিছুতেই বিনষ্ট হয়না সুবহানাল্লাহ.
উল্লেখ্য,হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্নিত আছে,তিনি বর্ননা মুবারক করেন,আবু লাহাব মারা যাওয়ার পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখে তার অবস্হা সর্ম্পকে জানতে চাইলাম.সে বলল আমার মতো বদবখত,বদনসীব যমীনে আর কেউ নেই, কারণ আমাদের বংশে আমাদের গোত্রে আমাদের পরিবারে মহান আল্লাহ পাক যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন,খতামুন নাবিইয়ীন হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম উনাকে পাঠিয়েছেন অথচ আমি ঈমান হারা হয়ে কুফরী অবস্হায় যমীন থেকে বিদায় নিয়েছি এবঙ যার কারনে সর্বপ্রকার আযাব গযবে গ্রেফতার হয়েছি,তবে এরপরও আমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার একটা বিশেষ ইহছান বা অনুগ্রহ করা হয়, তার কারণ হচ্ছে-আমি আমার ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঘর মুবারকে সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,খতামুন নাবিইয়িন হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ লাভ করার সুসংবাদ মুবারক শুনে খুশি প্রকাশ করে আমার বাঁদী হযরত সুয়াইবাহ আলাইহাস সালাম উনাকে দু’আঙ্গুলী ইশারা করে বলেছিলাম: যান আজ হতে আমি আপনাকে উনার খিদমত মুবারক করার জন্য আযাদ করে দিলাম.যার ফলে মহান আল্লাহ পাক প্রতি সোমবার শরীফ উনার দিনে আমার ডান হাতের দু’আঙ্গুল দিয়ে সুমিষ্ট ঠান্ড পানি প্রবাহিত করেন.আমি তা আমি পান করি যার কারনে অন্যান্য দিনের আযাব গযব এর কষ্ট আমার লাগব হয়ে যায়.(মাছাবাতা বিস সুন্নাহ)
স্মরণযোগ্য যে, আবু লাহাব কাট্রা কাফির যার আগাম ধ্বংসের জন্য সুরা লাহাব নাযিল হয়ে ছিল এত্দ্বসত্ত্বেও মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সুসংবাদ মুবারক শুনে একজন বাদীকে আযাদ করার কারনে তা ও আবার রসুল হিসেবে নয়,তার ভ্রাতুষ্পুত্র হিসেবে, যদি আল্লাহ পাক তার জন্য জাহান্নামের মধ্যে ও বিশেষ ব্যাবস্হা করেন, তাহলে আমরা যারা উনার উম্মৎ হওয়ার সৌভাগ্য অরজন করেছি তাহলে আমাদের জন্য তা কতখানি নিয়ামত লাভের কারণ হতে পারে তা চিন্তা ফিকিরের বিষয়,
মুলত:সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করলে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে রয়েছে বিশেষ নিয়ামত. কাজেই বান্দা বান্দি জ্বিন ইনসান সহ সকলর জন্য ফরজ ওয়াজিব হলো সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদুল ঈদুল আযম, ঈদে আকবর, ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্কে যথাযথভাবে খুশি প্রকাশ করা,অতএব মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক সেই যোগ্যতা দান করেন্ আমীন!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।