আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদূরের ইতহিাস :লাদেন হত্যাকান্ড: ওবামা এবং ন্যায়বিচার

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

বল। হে ওবামা ! ন্যায়বিচার কে একচোখে না দেখে দুচোখে দেখার চর্চা কর। তৃতীয় নয়ন আলোকিত কর। বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ স্থানগুলোতে বিবেকি ফয়সালা কর। বল।

আল্লা তোমাকে এমন একটা অবস্থান দিয়েছেন যাতে অনেক নবীরসূল মহামানবেরা পর্যন্ত্ ঈর্ষান্বিত এই অর্থে যে, তারা ছিল অধিকাংশই স্রেফ্ ন্যায়ের প্রচারক কিন্ত তোমাকে বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ন্যায়দন্ড প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বল। তোমার আদি পূর্বসূরী জেফারসন ওয়াশিংটন লিংকনরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে যে উদার বিশ্ব ব্যবস্থার কথা পৃথিবীকে শুনিয়েছিলেন তা বাস্ত্ব রুপদানে তোমার সুযোগ এসেছে।
হে শিশুদের সালামকারী ! লাদেন সর্ম্পকে বল, সে অস্ত্র চর্চার ব্যাপারে যত টাইম পার করেছে তার কিঞ্চিৎ টাইম জ্ঞান চর্চাতে নিয়োগ করলে তার একজন সফল বিপ্লবীতে পরিনত হওয়ার সুযোগ ছিল। বল- তার মাঝেমাঝে ভিডিও টেপের মাধ্যমে মিডিয়াতে উপস্থিত হওয়ার চাইতে লেখনির দ্বারা মিডিয়াতে নিজেকে আত্মপ্রকাশ ঘটালে তা হতো আমেরিকার মতলববাজির বিপক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের কার্যকরি পন্থা।


বল। খোদ আমেরিকান বুদ্ধিজীবি নোয়াম চমস্কি সহ বিশ্বের অগনিত বিবেকি কলম আমেরিকার একচোখা পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে যতটুকু না বিশ্ব জনমতে দাগ কাটতে পেরেছে, লাদেন যদি কলম চালাতো তা হতো অধিক কার্যকরি প্রবন্ধ নিবন্ধ। স্মরণ কর, আল্লা কোরানে বলেছে- ইসলাম চর্চা কর হেকমত তথা প্রজ্ঞার সহিত। অথচ লাদেন হঠ্কারিতাকে কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
বল।

নব্বয়ের দশকে বিভিন্ন মুজাহিদ গ্রুপ আমেরিকার মদদে সোভিয়েট আগ্রাসনকে বিতাড়িত করে নিজেরাই ক্ষমতার লোভে যখন একে অপরকে উচ্ছেদের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল তখন তালেবান তথা লাদেনরা একটি সশ্রস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে আফগানস্থানের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা দখল করেছিল। তাদের সামনে আফগানকে মানবিক গুনসম্পন্ন দূর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী বিবেক রাষ্ট্রের একটি মডেল হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপনের সুযোগ এসেছিল। অথচ পরমত সহিষ্ণুতার বদলে তোমরা লাদেন তালিবান সরকার আফগানস্থানের বৌদ্ধদের প্রাচীন পাথরের মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলে। মানুষকে গরু খেদানোর মত জোর করে নামাজে নিতে চেষ্টা করলে। নারীসমাজ মানব সমাজকে কোণঠাসা শ্রেনীতে পরিনত করলে।

আফগানের স্বাধীন ভূ- খন্ডে বসে আমেরিকার স্বার্থে আঘাতের জন্য তার বিভিন্ন দূতাবাসে হামলার উস্কানি দিতে লাগলে। এতে করে কিছু মেধাবি মুসলিম যুবক উৎসাহিত হয়ে টেকনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার ঘটিয়ে আমেরিকার টাওয়ার ধ্বংশসাধন ঘটালো। বড় শক্তির সাথে লড়াইয়ে এহেন হোম্জিক্যালি আহাম্মকি কৌশল বুমেরাং হয়। তোমাদের সামনে হুদায়বিয়ার সন্ধির জলন্ত্ শিক্ষা ছিল। এহেন আহাম্মকির যা ফল তাই হলো।

বিশ্বব্যাপি ইসলাম ও মুসলমানদের সন্দেহের পাত্রে আর সন্ত্রাসির খেতাবে পরিনত করলে। এবং নিজেদের অস্তিত্ব সংটাপন্ন বিপন্ন করলে। বল। আল্লার অস্তিত্ব দেদীপ্যমান!
হে কলমওয়ালা ! স্মরণ কর, লাদেন হত্যার পর ওবামার ভাষণের কথা। সে বলেছিল, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মধ্যদিয়ে ন্যায় বিচার হয়েছে।

বল। হে বারাক ওবামা ! নিজেদের মানুষের অন্যায়ের বিচার না করে অন্য মানুষের অন্যায়ের বিচার করায় কোন সুগভীর সুফলতা নাই। তুমি ওবামাকে স্মরণ করিয়ে দাও যে, ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে যে অপরাধের জন্য নাৎসি অপরাধীদের ফাঁসি হয়েছিল ঠিক একই অপরাধে জর্জ বুশও সমান অপরাধী। সে ক্ষেত্রে লাদেন তো এফবিআই এর গবেষণা মতে স্রেফ সন্দেহভাজন কিংবা ঘটনা সংঘটনকারী!

হে একবিংশের স্পোকস্ম্যান ! স্মরণ কর, লাদেন হত্যার পর সেই ভাষণে ওবামা আরও বলেছিল, আমেরিকা চাইলে যে কোন কাজ সফল ভাবে করা সম্ভব। এই প্রেক্ষিতে ওবামাকে বল, বিবেক দন্ড বহালের কাজটা সফল ভাবে সম্পন্ন করাটাই মানবজীবন স্বার্থকধর্মী কাজ।

বল। ব্যয়বহুল নির্বাচন ছাড়, বিবেকদন্ড সুষম কর। আল্ল ন্যায়পরায়ণের আধার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.