তথ্য-উপাত্ত বলছে, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে উড়োজাহাজকে পুরোপুরি গায়েব করে দেয়া যায়। আর হারিয়ে যাওয়া মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটিতে এই প্রযুক্তি নিয়ে সরাসরি কাজ করছেন এমন ২০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাচ্ছিলেন।
নিখোঁজ উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় ‘ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর’ নামক উচ্চতর প্রযুক্তি বিষয়ক একটি কোম্পানির ২০জন কর্মকর্তা ওই উড়োজাহাজের যাত্রী ছিলেন।
অস্টিন (টেক্সাস) ভিত্তিক ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিও তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কোম্পানির ২০ জন কর্মকর্তা নিখোঁজ বিমানের যাত্রী ছিলেন।
তারা কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাচ্ছিলেন বলেও কোম্পানির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এ ২০ কর্মকর্তার ১২ জন কুয়ালামপুরের এবং ৮ জন চীনের বলে জানানো হয়েছে। এদের সবাই প্রকৌশলী বা বিশেষজ্ঞ এবং কুয়ালালামপুর ও বেইজিং-এ কোম্পানির দুটি চিপ প্রস্তুতকারক ইউনিটে তারা কাজ করতেন।
ফ্রিস্কেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ২৩৯ জন আরোহীর সঙ্গে নিজ প্রতিষ্ঠানের ২০ কর্মীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ করেছে।
ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিটির ওয়েবসাইট এবং আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন জার্নাল ঘেঁটে জানা যায়, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি মূলত রাডারের কার্যক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে বিমানকে রাডার বা যে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে আড়ালে রাখে।
এমনকি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উড়ন্ত বিমানকে মানবচক্ষুর আড়ালও করে ফেলা যায়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ফলে অদৃশ্য অবস্থায় বিমান চালিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে ইসরায়েল।
সিরিয়া গত বছরই ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, চীন গত কয়েক বছর ধরে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
অস্টিনভিত্তিক ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ও বিমান বাহিনীতে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি সক্ষম করে তোলার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের ২০ ফ্রিস্কেল কর্মকর্তাই এই প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ বলে জানা গেছে।
ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টরের এই ২০ কর্মী উড়োজাহাজকে আড়াল করার প্রযুক্তি নিয়েই কাজ করছিলেন কীনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞ হিসেবে তারা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।