# এইতো কয়েক মাস আগের কথা । সময়টা ছিল "ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশন" পেজের । কম করে হলেও কয়েকশত কনফেশন পেজের জন্ম হইছিল । আর তার একেকটা কাহিনী পড়ে মনে হইতো পুলাপানের জন্মই হইছে যেন প্রেম করার জন্য । আর দিন বদলের সাথে সাথে সবগুলাই ফার্মের মুরগী হয়ে গেছে ।
যেই কামডা কৈশরে সরাসরি করতে পারতাম , সেইডা বেনামে ভার্চুয়ালি করে লাভ কি , কোনদিন মাথাই ঢুকে নাই ।
# আস্তে আস্তে প্রেমের প্রতি বিতৃষ্ণা ঢুকে গেলো তাদের মনে । ভাবলো , ভার্চুয়ালি যখন করতাছি প্রেম কেন করবো ??? বিয়াই করে ফেলাই । যেই কথা সেই কাজ । কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশের সবগুলা ভার্সিটি (কোন কোন ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট), সবগুলো স্কুল , কলেজ , কিন্ডার গার্টেন, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মহল্লার নামে খুলে গেলো পাত্র পাত্রী পেজ ।
কেউ কেউ আবার তাতেও খুশি না । বেশি লাইক দরকার , তাই যতটা খারাপ ভাষাই সম্ভব পাত্রীর দৈহিক বর্ণনা লেখার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো .........
এখন দেখার বিষয় এই পেজ গুলা কতো দিন চলে । হয়তো অথর্বের মতো কয়েক মাস পর এই যুগের অবসান ঘটবে । আরো বাজে কোন কনসেপ্ট নিয়ে নতুন কোন পেজ আসবে । হয়তো আরো বাজে ভাষা ব্যাবহার করা হবে ।
মাঝখানে লাভের লাভ হবে , আরেকজনের মেয়ে / বোনকে পণ্য বানিয়ে কিছু লাইক পাওয়া আর পেজের পাবলিসিটি বাড়ানো । জাস্ট এটুকুই ।
বি.দ্র. - আজ দেখলাম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি প্রকাশের জন্য এক মেয়ে আত্মহত্যা করছে । আচ্ছা, জাস্ট কিছু লাইকের জন্য একটা মেয়েরে নিয়ে যারা এম্নে লিখছেন তারা কি একটা বারের জন্য ভাবছেন না , আপনার জন্য কোন মেয়ের লাইফটা হেল হয়ে যাইতে পারে ? এইটা ভুলে যাইয়েন না , হয়তো আপনার বোন কেও কোন না কোন পেজে পণ্য হিসাবে তুলে ধরা হবে আর সেখানে কেউ না কেউ কমেন্ট করবে , "মালটা তো সেই মাম্মা । লিঙ্ক দাও রিকু পাঠাই।
" আপনার অনুভুতি সেদিন কেমন হবে দেখার খুব ইচ্ছা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।