প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবারিত সবুজের সমারোহ আর মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেয় আমাদের এবারকার বান্দরবানে ভ্রমণ, আটবছর চট্টগ্রামে চাকুরী সময় কালে মাত্র একবার বান্দরবানে এসেছিলাম কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে। দিনে এসে দিনেই ফিরতে হয়েছিল শুধু মাত্র জেলা শহর আর মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রকে উপভোগ করে। বাংলাদেশের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান জেলায় দেখে মুগ্ধ হওয়ার জায়গার অভাব নেই,অবস্হানকালীন ছুটি, লাবিবার বয়স এবং ওর কোন কিছু দেখে আশ্চার্য অভিভুত হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই বান্দবান শহরের আশেপাশের ৭টি এলাকা- স্বর্ণ মন্দির, নীলগিরি, মেঘলা, নীলাচল, শৈল প্রপাত, মিলনছড়ি ও চিম্বুক ঘুরে দেখার প্লান করেছি। মেয়ের বড় হয়ে উঠা এবং চিটাগাং এ চাকুরীর স্হায়ীকালের উপর ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় থাকল তাজিংডং,বগালেক,জাদিপাই ঝড়না, শুভাঙ্গম ঝরনা,নাফাখুম জলপ্রপপাত ইত্যাদি।
নিরিবিলিতে স্বপরিবারে কয়েকটা দিন কাটাতে নীলগিরির চেয়ে আদর্শ জায়গা আমার মনে হয় দ্বিতীয়টি আর কোথাও পাওয়া যাবেনা।
মেঘ ছোঁয়ার দূর্লভ সুযোগ সহ নীলিগিরির অবস্হান জেলা সদর ধেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ২২০০ ফুট ওপরে, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি উচ্চে অবস্থানের কারণে এই স্থানটি সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। বিকালের মধ্যেই যেহেতু আমাদের ফেরত আসতে হবে তাই ভোর সাতটায় রওয়ানা হলাম, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাস্তায় ধেয়ে চলছে আমাদের গাড়ী । লাবিবা আর বন্ধু কন্যা অগাষ্টা আলাস্কা দারুন উচ্ছাসিত,সবুজ প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে, বিস্ময়ে অভিভূত হচ্ছি আমরাও। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবন মুগ্ধ হওয়ার মতো।
সমুদ্র সমতল হতে বাইশ শ’ ফুট উপরে আকাশের কোল ঘেষে নীলগিরি যেন প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের স্বপ্নরাজ্য। আমরা সকাল দশটার মধ্যেই পৌছে গেলাম,পথিমধ্যে চিম্বুক পাহাড় শৈলপ্রপাত মিলনছড়ি পড়লেও নীলগিরির একদম ফ্রেশ অনুভুতি পাওয়ার জন্য কোথাও না নেমে সোজা পৌছে যাই। জেনে এসেছি এখানে আকাশ পাহাড়ের সাথে মিতালী করে। মেঘবালিকা চুমু দিয়ে যায় পাহাড়ের চূড়ায়। হাত বাড়ালেই ছোয়া যায় মেঘের পালক।
মেঘের দল এখানে খেলা করে আপন মনে। সে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। মনে হবে উড়ে বেড়াচ্ছি আকাশের বুকে মেঘের সাথে।
চলবে....।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।