আমরা জানি, এখন সামাজিক যোগাযোগ ও ইন্টারএকশনে সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো সবচেয়ে সমসাময়িক ও শ্রেষ্ঠ । ৩৫% প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রোফাইল রয়েছে। অনেকের একাধিক প্রোফাইলও রয়েছে। বাস্তব জীবনের মতো সেখানেও শেয়ারিং কেয়ারিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখানে যদি কেউ কোন ধরাবাধা নিয়ম বা প্রাইভেসি না দেয় তার সকল তথ্য অন্যান্যদের মাঝে ছড়িয়ে যেতে পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য অচেনা কারও কাছে শেয়ার করাটা একটি বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ১০ টি বিষয় শেয়ার না করার ব্যাপারে সবাইকে জানাবোঃ
১. যে কোন কিছু যা আপনি শেয়ার করতে চান না:
আপনি সকল প্রকারের প্রাইভেসি দিয়ে রাখতে পারেন, যা আপনি চান না যে সবাই তা জানুক। কিন্তু আপনি ইনফরমেশন দিয়ে রেখেছেন। আশা করি আপনি জানেন ফেসবুকের সকল ফান এ্যাপস, কুইজ খেলার সময় আপনার সমস্ত ইনফরমেশন এর এক্সেস দিতে হয়। এসব ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে তাদের চাওয়া তথ্যগুলো দিতেই হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয় একটা গবেষনায় দেখেছে যে, টপ ১৫০টি এ্যাপস ৯০% ইনফরমেশন কালেক্ট করতে পারে যা সবাই শেয়ার দেয়নি বা পরিপূর্ন প্রাইভেসি দিয়ে রেখেছে।
২. পাসওয়ার্ড হিন্টস:
বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে আপনার পাসওয়ার্ড হিন্টস চায়। সেক্ষেত্রে কোন হিন্টস শেয়ার করবেন না। এটি আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয়ার মতোই হয়।
৩. পাসওয়ার্ড:
আপনার পাসওয়ার্ডটি কোন বন্ধুর সাথেও শেয়ার করবেন না।
দেখা গেছে আপনি ইন্টারনেট একসেস এর বাইরে আছেন। আপনাকে কেউ একটা ইমেইল করেছে। জরুরি ভিত্তিতে আপনার এ বিষয়টা জানা দরকার, তখনও আপনি আপনার পাসওয়ার্ড বন্ধুকে দিয়ে লগইন করাবেন না।
৪. ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক তথ্য:
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, এ ব্যাংকিং তথ্য বা পোর্টফোলিও কেউ শেয়ার করে না। কিন্তু এটা ঘটে থাকে।
প্র্রায়ই শুনে থাকবেন ব্যাংক লুটের ঘটনা। একটি নিভুল ও নির্দোষ ফেসবুক কমেন্টের মাধ্যমেও তা হয়ে যায়। তাই বলি কমেন্টের ব্যাপরেও আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।
৫. আপনার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার:
এটাকে একটি সিকিউরিটি রিস্কের আওতায় রাখতে পারেন। যদি আপনি শেয়ার করেন, আপনি বা আপনার আইডেন্টিটি চুরি কিংবা সিধচুরি হওয়ার বিরাট এক বিপজ্জনক সুযোগ করে দিলেন।
যদি আপনি শেয়ার করেন যে আপনি কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন, আপনার বাসাটা এখন খালি। এসময় আপনার বাসাতে অনেক কিছু করার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। তার পাশাপাশি আপনার ইমেইলে একসেস, ক্রেডিট কার্ড একসেস ইত্যাদি ঘটিয়ে ফেলতে পারে এবং চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
৬. আপনার সন্তানের ছবি:
সোসাল সাইটগুলোতে অনেকেই তাদের সন্তানের ছবি দিয়ে থাকে। আপনিও যদি সেই ৪০% পার্সেন্ট লোকের একজন হন যারা এ সব করা নিরাপত্তা দেয়না, তখন এসব ছবি সকলের দেখার সুযোগ করে দেয়।
একদিন আপনি স্টেটাস দিলেন যে আমার স্বামী/স্ত্রী এখন শহরের বাইরে। অথবা লিখলেন যে আপনার ছেলে/মেয়ে এখন একাই বাসায় থাকতে পারছে। কেউ এটা নিয়ে ভাবে না যতক্ষন না কোন ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এটা মনে রাখবেন যদি এরকম করে থাকেন, আপনি আপনার সন্তানকে ক্ষতির ঝুকি তৈরি করে দিচ্ছেন।
৭. কোম্পনি তথ্য:
হয়তো আপনি নতুন কাজ এর প্রমোশনের জন্য মানুষকে বলতে বলতে মারা যেতে পারেন।
কিন্তু কিছু তথ্য আপনার প্রতিদ্বন্ধির কাছে সুবিধাজনক হতে পারে। যদি আপনার এটা করতেই হয়, তা করুন নির্বাচিত ভাবে এবং ইমেইলের মাধ্যমে। অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের এমপ্লয়িদের সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করতে দেয় না।
৮. লিংকিং সাইটস:
আপনি ফেসবুকে এমন কিছু একটা স্টেটাস শেয়ার দিলেন যা আপনার কাছে নির্দোষ মনে হয়েছে। কিন্তু আপনি হয়তো এটাকে আবার লিংকডইন এ ওয়ার্ক প্রোফাইলে লিংক করে দিলেন।
এর মাধ্যমে আপনার চাকরিকে ঝুকির মুখোমুখি করলেন। যদি এমন করেই থাকেন তাহলে অবশ্যই সব ক্ষেতে একই তথ্য দিবেন। এক চাকুরিজীবি ফেসবুকে তথ্য ও ছবি দিলো যে সে গত সপ্তাহের শেষের দিকে পার্টিতে গিয়েছে। কিন্তু বসের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছে অসুস্থ্য বলে। ফলে সে তার চাকরি হারালো।
৯. সোসাল প্ল্যানস:
আপনার সকল সামাজিক চিন্তা বা পরিকল্পনা সবাই জানুক এটা ভালো লক্ষন নয়। মনে করুন আপনার কোন সাবেক (বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড/প্রতিদ্বন্ধি) প্ল্যানটা জানতে পারলো। তখন আপনি জানার আগে হয়তো অন্য যে কেউ তা সম্পাদন করে ফেলতে পারে।
১০. ব্যক্তিগত কথোপকথন:
ফেসবুকে অনেক ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত বার্তা, নোটস, ইমেজেস এবং ভিডিও অন্য কারও ওয়াল এ শেয়ার করতে পারে। এসব শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
পরিশেষে বলতে চাই, বর্তমানে যুগে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তাদের অসচেতনতার কারনে। আমরা সবাই সচেতন থাকতে পারবো বলে মনে করি।
আরো পড়ুনঃ
ICC T20 World Cup 2014 এর কিছু Songs! জলদি ডাউনলোড করুন!
কবরস্থানের গাছে জ্বলছে রহস্যজনক আগুন !
অতি গোপন কথা_ কিন্তু পেটে রাখতে পারছেন না - আপনার কথাটি গোপন রাখবে রোবট!
এবার বাতাসে চলবে মোটরসাইকেল
প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কারণে যে জিনিস গুলো আজ বিলুপ্তির পথে!
মঙ্গল গ্রহে প্রথম বাংলাদেশি নারী লুলু ফেরদৌস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।