নাটকটি রচনা করেছেন আনন জামান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ড. রশীদ হারুন। দুজনই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক।
‘শিখণ্ডী কথা’র কাহিনি আবর্তিত হয়েছে রতন মোল্লাকে ঘিরে। হিজলতলী নামের একটি গ্রামে রমজেদ মোল্লার এই শিশুটি বড় হতেই ধরা পড়ে তার অংশত নারী, অংশত পুরুষ। পাড়াপড়শি তো বটেই, খোদ পরিবারের সদস্যদের কাছে নানা কটুক্তি শোনতে হয় তাকে।
জীবনের সব স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে পড়ায় এক ভীষণ যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাতে থাকে সে। এক পর্যায়ে ভয়ানক বেদনায় নিজেকেই নিজে খুন করতে উদ্যত হয় রতন।
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন মীর জাহিদ হাসান, পলি বিশ্বাস, উৎপল চক্রবর্তী, উজ্জ্বল আচার্য্, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
নাটকের অভিনেতা ও দলের অন্যতম সদস্য মীর জাহিদ হাসান গ্লিটজকে বলেন, “এ নাটকের মাধ্যমে আমরা হিজড়াদের সম্পর্কে সমাজে একটি ইতিবাচক মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত করতে চেয়েছি। নাটকের মূল বক্তব্য হল, লিঙ্গ প্রতিবন্ধীরা নারী না হোক, পুরুষ না হোক একজন স্বাভাবিক মানুষের সম্মান যেন পায়, এই অভিপ্রায় সামনে রেখে মহাকাল প্রযোজনা ‘শিখণ্ডী কথা’।
”
এ নাটকে পোশাক পরিকল্পনায় আছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সূচনা সংগীতে ইউসুফ হাসান অর্ক, আবহ সংগীতে সুলতানা ইয়াসমীন হক ও আব্দুল আলীম, মঞ্চ পরিকল্পনায় তানভীর হাসান ও মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পনায় রফিকুল হক হিমেল, কোরিওগ্রাফিতে রাজশ্রী রায় এবং রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়।
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এ নাটকটি মঞ্চে আনে ২০০২ সালে। মহিলা সমিতি মঞ্চে এর প্রথম মঞ্চায়ন হয়। ২০১০ সালের ১৩ মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় এ নাটকের শততম মঞ্চায়ন সম্পন্ন হয়। নাটকটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহর ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বিহার রাজ্যেও প্রদর্শিত হয়েছে।
নাটকটি একই নামে চলচ্চিত্র হিসাবেও নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন প্রয়াত চলচ্চিত্রকার মোহাম্মদ হান্নান। তাতে অভিনয়ও করেছেন মহাকালের সদস্যরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।