প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম ‘পেট্রোল এয়ারক্র্যাফট’ ও দুটি বড় আকারের যুদ্ধ জাহাজ (ফ্রিগেট) নিখোঁজ বিমান অনুসন্ধানে মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগর ও নিকটবর্তী এলাকায় এই অনুসন্ধান চালানো হবে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা হতে পারে।
দুটি পেট্রোল এয়ারক্র্যাফটের পাশাপাশি বিএনএস ওমর ফারুক ও বিএনএস বঙ্গবন্ধু ফ্রিগেট এই অনুসন্ধানে নেমেছে। এগুলোতে দূর থেকে কোনো কিছু স্পষ্টভাবে দেখার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে।
গত ৮ মার্চ প্রথম প্রহরে ২৩৯জন আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পর বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ‘উধাও’ হয়ে যায়।
গত এক সপ্তাহ ধরে ১৩টি দেশের প্রায় একশ বিমান ও নৌযান দক্ষিণ চীন সাগরে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিমানের কোনো খোঁজ বা ধ্বংসাবশেষ পায়নি।
মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সামরিক রেডার থেকে পাওয়া বিমানের অবস্থান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় বিমানটি পুরো ঘুরে পশ্চিম দিকে মোড় নিয়েছিল এবং মালয় উপদ্বীপ পার হয়ে আন্দামান সাগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিমানটি পথ পাল্টে ভারত মহাসাগর বা বঙ্গোপসাগরের দিকে আসতে পারে এমন ধারণা থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ তল্লাশি চলছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।