বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রবিবার কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে সম্পন্ন হল দোল উৎসবের মোড়কে 'বসন্ত উৎসব'। আবির রঙে মেতে ওঠে গোটা কবিগুরুর সাধের শান্তিনিকেতন চত্বর। আম্রকুঞ্জ থেকে শালবীতি পর্যন্ত হাজার হাজার দেশ-বিদেশের অতিথির সমাগমে রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষে সর্বকালীন ভিড় হয়েছিল এদিন। সঙ্গীত ভবন, কলাভবন সর্বত্রই ছিল হোলির আমেজ। ছাত্রীদের পরনে হলুদ শাড়ি, মাথায় রাঙা পলাশ আর ছাত্রদের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা।
এদিন সকালে আম্রকুঞ্জ থেকে শুরু হয় ঐতিহাসিক দোল পদ যাত্রা।
কলকাতা, সল্টলেক ও অন্য জেলাতেও বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই বসন্তের রঙে নিজেদের ভাসিয়ে দেন সবাই। সকাল শুরু হয় রঙে রঙে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে।
গুরুজনদের পা থেকে শুরু করে প্রেমিক-প্রেমিকাদের গালেও লাগে রঙের ছোঁয়া। মনের গভীরেও ছুঁয়ে যায় গাঢ় লাল আবির।
অন্যদিকে কলকাতার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শহরবাসীরা মেতে উঠেছিল রঙ খেলার নেশায়। টালিগঞ্জের একটি নাচের স্কুলে এ বার দোলে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল বসন্ত উৎসবের পদযাত্রার। রঙীন শাড়ি, পলাশ, গাঁদায় সেজে রঙের নেশায় মেতেছিল স্কুলের ছাত্রীরা।
নাচের তালে তাল মিলিয়ে টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী শহরের বুকে ছোটদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল ছোট এক শান্তিনিকেতনের। অভিভাবকরাও সামিল হয়েছিলেন এই উৎসবে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে ছিল পুলিশি মোতায়েন যাতে রাজ্যবাসীর এই মহান উৎসবে কোনও অশান্তির সৃষ্টি না হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।