জলে না নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার, গালি না খাইলে কেহ না হয় ব্লগার
'ছাগু' শব্দটা দিয়ে রাজাকার মাইন্ডেড পাবলিকদের চিণ্হিত করা হয়। আবিষ্কারের পর দিনকে দিন এই শব্দের জনপ্রিয়তা বাড়তে লাগল আর শব্দটিও আরও ধারালো হয়ে উঠতে লাগল। কাউকে ছাগু আখ্যা দেয়া মানে নেহায়েত গালি দেয়া না, কাউকে ছাগু বলা মানে তার প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা উগড়ে দেয়া, তার ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষা যাবে না সবাইকে বুঝিয়ে দেয়া।
কিন্তু একটা গোষ্ঠী এই 'ছাগু' শব্দটার এহেন ক্ষমতা দেখে খুব বাজে ফন্দি আঁটে- সেই গোষ্ঠী হল নাস্তিকপট্টি। নাস্তিকপট্টি সহজ-সরল ভাষায় ফরিয়াদ জানায়, এসো আমরা এই 'ছাগু' শব্দের অর্থটা এক্সটেন্ড করি।
ছাগু বলতে এখন থেকে আমরা কেবল মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদেরই বুঝাবো না, বরং ধর্মের নামে যারা অপকর্ম করে তাদের চিণ্হিত করব। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। অনেকেই এতে সায় দিল। যারা ধর্মের নামে অধর্ম করে তাদের টাইট দেয়া গেলে মন্দ কী!
বহুত আচ্ছা! কিন্তু এখন কথা হলো অধর্ম করছেটা কারা? নাস্তিকরা বলল, নো টেনশন। আমরাই দেখিয়ে দিচ্ছি কারা।
এরপর থেকেই শুরু হলো গিরিঙ্গি। নাস্তিকরা নিউলি ডিফাইন্ড ছাগু চিণ্হিত করে নিজেদের ইয়ার্ড স্টিকে মেপে। যাদের কথাবার্তা তাদের মনমতো হয় না- সেই ছাগু। অর্থাৎ আমরা ধার্মিকের যে সংজ্ঞাটা বানিয়েছি- ওটা না মানলেই তোমরা ছাগু- নাস্তিকপট্টি এই মেসজটাই দিল। সোজা ভাষায় তারা কাস্টম মেইড ধার্মিক চায়।
এমনকি অনেক সময় নাস্তিকপট্টিদের যারা রিবাটাল দিতে চায়, তাদের অনেকেও ছাগু হয়ে গেল। নাস্তিকপট্টির একটা এজেন্ডা আছে। আর যারা এই এজেন্ডার বিরুদ্ধে মিনিমাম থ্রেট পোজ করে, সেও ছাগু। এই ভাবে নাস্তিকপট্টি আমজনতার কাঁধে সফলভাবেই বন্দুকটা সেট করল।
এটা নিয়ে আমি প্রথম কথা বলছি না।
সামহোয়্যারইন ব্লগে এটা নিয়ে ইতোপূর্বেও আলোচনা হয়েছে।
যারেতারে ছাগু ট্যাগিংয়ের সর্বশেষ নমুনা হল রকমারি ডটকমের মালিক মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাই। তাঁর দোষ, তিনি এক নাস্তিকের লেখা বই অপর এক অনলাইন মস্তানের থ্রেট খেয়ে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরে ব্যাটা নাস্তিক, তোরা বই লিখবি তো লেখ! লেখে ছবির হাটের সামনে ফুটপাথে বেঁচ। আগে ফুটপাথে ভাল বিক্রিবাট্টা করে দেখা, তারপর নাহয় অনলাইনে বেঁচবি।
ছেলেটা ব্যবসাপাতি গুছিয়ে এনেছে, তার ক্যারিয়ার, ফ্যামিলির চিন্তাভাবনা আছে, সে এখন তোদের ঢোল পেটাতে গিয়ে ব্যবসাটা ডুবাবে নাকি? জীবনের ঝুঁকি নিবে নাকি? নাস্তিকরা বেচারার পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে...
নাস্তিকপট্টি যে দিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়। এরা গণজাগরণ মঞ্চকে ডুবিয়েছে, যারে ধরবে, তারেই ডুবাবে। সোহাগ ভাইয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।