ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ফল প্রকাশের আগেই বুথফেরত এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো।
বার্তা সংস্থা রিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ার ৯৩ শতাংশ ভোটারই রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
রুশ অধ্যুষিত এই অঞ্চলে নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নির্বাচন প্রধান মাইখাইলো মালিয়াশেভ বলেছেন, প্রথম ৬ ঘণ্টায় ভোটর উপস্থিতির হার দেখা গেছে ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। ভোটারের এ উপস্থিতি রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, একটি বিশাল অংশ ক্রিমিয়ার বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর এর বিপক্ষে থাকা অনেকেই ভোট বয়কট করছে।
ব্যালট পেপারে দুটো প্রশ্ন রাখা হয়, প্রথমত, ক্রিমিয়া রাশিয়ায় যোগ দেবে কিনা। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেইনের ১৯৯২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া উচিত কিনা। যে সংবিধান অনুযায়ী ক্রিমিয়া আরো বেশি স্বায়ত্তশাসন পাবে।
ফলে সংবিধানের পরিবর্তন যারা চায় না, তাদের জন্য এ গণভোটে কোনো বিকল্প নেই।
ক্রিমিয়ায় যোগ্য ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ। ভোটের প্রাথমিক ফল খুব শিগগিরই চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অঞ্চলটির জাতিগত রুশ জনগোষ্ঠী ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ। তাদের বেশিরভাগই রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে ভোট দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের পর ওই অঞ্চলের সরকারের নেতৃত্বে থাকা সের্গেই আকশিয়োনোভ বলেন, জনগণ অবাধে ভোট দিচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে কোনো সমস্যা নেই। কাউকে ভোট দিতে চাপাচাপিও করা হচ্ছে না।
ভোটারদের অনেকেই বলছেন, তারা কিয়েভের শাসন চান না। রাশিয়া তাদের সুরক্ষা দেবে এ আশাতেই তারা ভোট দিতে এসেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্ররা এই গণভোটকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের আপত্তি উপেক্ষা করেই হয় এ গণভোট।
অন্যদিকে, রাশিয়া বলছে, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণা অনুযায়ী, এ গণভোট সম্পূর্ণ বৈধ।
শনিবার এ গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।