শুরুতেই হোঁচট। গতকাল সোমবার ছিল কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তাপস পালের প্রথম প্রচার-মিছিল। রণপা-ব্যান্ডপার্টি রাস্তায় নামিয়েও সে মিছিল জমল না। লোক ছিল মেরেকেটে গোটা পাঁচশো। ছিলেন না স্থানীয় সাতজন বিধায়কের একজনও।
দু-একজন ছাড়া জেলার নেতারাও বিশেষ কেউ ছিলেন না।
নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিসের মোড় থেকে তারকা প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল বেরোয়। কালীবাড়ি, চার্চ, জোলের পাড়া জামা মসজিদ, কুর্চিপোতা মসজিদ হয়ে ফের পোস্ট অফিসে পৌঁছয়। তাপস পালের পাশে পাশে সারাক্ষণ ছিলেন কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীম সাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন জানালেন, মাস চারেক আগে কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রচারপর্বে তৃণমূলের মিছিলে এর চেয়ে ভিড় হত বেশি।
যদিও তৃণমূলের অন্দরে কানাঘুষো, তাপসবাবুর হয়ে প্রচারে এ বার উৎসাহী নয় জেলার নেতাদের একাংশ। অনেকেই মুখে তার প্রার্থীপদ নিয়ে অসন্তোষ না দেখালেও, প্রচারে না-গিয়ে প্রার্থীর সঙ্গে নিজের দূরত্ব বোঝাতে চাইছেন। তাই দলের তরফে প্রচারের সংগঠনে ফাঁক থেকে গিয়েছে। এ দিনের মিছিলের খবর দলেরই সর্বত্র পৌঁছয়নি বলে দাবি করছেন অনেক নেতা-কর্মী। তৃণমূলের জেলা স্তরের এক নেতা দাবি করেন, তাপস সোমবার প্রচার শুরু করছেন, তা অন্য সূত্রে জানতে পারি।
দলের পক্ষ থেকে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তাই যেতে পারিনি।
পৌরসভা প্রধান অসীম সাহাও জানান, তিনি গত কাল বিকেলের পরে জেনেছেন মিছিলের কথা। অসীমবাবু বলেন, শেষবেলা জানতে পেরে যতটা সম্ভব কর্মীদের এনেছি। তারই মধ্যে অত্যুৎসাহী কিছু কর্মীর ধাক্কায় ১৪ জন কাউন্সিলর মাঝপথে বাড়ি ফিরে যান বলে দলীয় সূত্রে খবর।
তাপস পাল নিজে অবশ্য খুশি। তার কথায়, শহরের মিছিল, তাই শহর নেতারা ছিলেন। প্রচুর লোক হয়েছে। বর্ণাঢ্য মিছিল। আমি খুশি।
সূত্র: আনন্দবাজার
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।