Facebook-র কল্যাণে উপরের চিহ্নটি সবার কাছে অতি পরিচিত ও জনপ্রিয়। Facebook-র ভাষায় এর মানে দাঁড়ায় ‘পছন্দ করা’। আর যখন কেউ কারো Status-এ এই চিহ্নটি ব্যবহার করেন তিনি মূলত Status দাতাকে এটাই বলতে চান, ‘আমি ইহা পছন্দ করিলাম’। যাইহোক, লেকচার আপাতত বাদ থাক।
Facebook-র কথা বাদ দিয়ে একবার এই চিহ্নটির আঞ্চলিক অর্থ কী-ভাবুন তো! হা হা সবাই জানেন, তাই বলার প্রয়োজন মনে করছি না।
গ্রাম অঞ্চলে তো বটেই শহরাঞ্চলেও আজ থেকে কয়েক বছর আগে কেউ যদি কাউকে ভুলেও ‘বুড়া আংগুল’ দেখাতো তাহলে নির্ঘাত মারপিট শুরু হয়ে যেত। এক বাংলাদেশী আর এক বাংলাদেশীকে ‘বুড়া আংগুল’ দেখিয়ে চলে যাবে এটা বাপের জন্মেও সহ্য করা হত না। কারণ এই ‘বুড়া আংগুল’ দেখানোকে আমাদের এই অঞ্চলে চুড়ান্ত অপমানসূচক চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হত।
আর আজ? Facebook-র কল্যাণে এটা খুব প্রেরণাদায়ক, উত্সাহব্যঞ্জক ও পছন্দনীয় একটি চিহ্ন হয়ে গেছে। একটা ‘লাইক’ চিহ্ন পেলে সবাই খুশি হয়।
একবার কল্পনা করি। একজন মানুষ খুব ভালো একটি কথা বলল বা খুব নজরকাড়া একটি ছবি দিল। আর অন্য সবাই তাকে ‘বুড়া আংগুল’ দেখিয়ে চলে গেল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এতে কেউ বেজাড় ত হলোই না বরং দুপক্ষই খুব খুশি। কয়েক বছর এমন দৃশ্য দেখাটা ছিল অকল্পনীয়।
সময়ের বিবর্তনের পথ ধরে এভাবেই মানুষের আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি চেঞ্জ হয়ে যায়। এক দেশের বুলি, আর এক দেশের গালি-এই প্রবাদও মাঝে মাঝে ভুল প্রমাণীত হয়। কেননা এখন আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। এখানে সবাই একই ভাষায় কথা বলে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।