রাশিয়াপন্থি ক্রিমিয়ান সেনারা ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর সদরদফতর দখলে নিয়েছে। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ ঘোষণা দেওয়ার পর রুশ সেনাদের গুলিতে ইউক্রেনের এক সেনা নিহতের ঘটনায়ই ছিল প্রথম হতাহতের ঘটনা। এ ঘটনার একদিন পর বুধবার সেভাস্তোপলে আবার নৌ-সদরদফর দখলের খবর পাওয়ো গেল।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের অঙ্গীভূত করার ঘোষণা দেন। এখন রুশপন্থি সেনাদের ইউক্রেনীয় নৌ-সদরদফতর দখলের ঘটনাটি বিক্ষুব্ধ দেশটির ব্যাপারে রাশিয়ার আরও একধাপ অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অনেকে মনে করছেন, পুতিন এখন এই উপদ্বীপের সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বুধবার সকালে স্থানীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই নৌ-সদরদফতরে প্রবেশ করে। এরপরই সেখানে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন জাহাজবহর (ফ্লিট) টহল দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ইউক্রেনীয় সেনারা সেখান থেকে মাথা নিচু করে শান্তভাবে তাদের তলপিতল্পা নিয়ে বেরিয়ে যায়।
এদিকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনিয়া ইয়াৎসেনিয়ুক বুধবার কিয়েভে ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত ক্রমেই সামরিক রূপ নিচ্ছে।
তিনি জানান, উপপ্রধানমন্ত্রী ভিতালি ইয়ারেমা এবং ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আইহোর তেনিউখকে ক্রিমিয়াতে পাঠানো হচ্ছে। তারা পরিস্থিতি সামলাতে আলোচনা করবেন।
তবে ক্রিমিয়া কর্তৃপক্ষ সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সীমানায় ওই মিশন নিয়ে ইউক্রেনের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
ওই অঞ্চলের নেতা সেরগেই আকসিওনোভ বলেছেন, ক্রিমিয়াতে তাদেরকে কেউই চায় না। এখানে তাদেরকে কেউ ঢুকতে দেবে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।