বৃহস্পতিবার জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে মন্ত্রীর কথার বিরোধিতা করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবুল বারকাত।
অর্থনীতির এই অধ্যাপকের মতে, এতে সরকার লাভবান হবে না, বরং কিছু লোক অল্পদিনেই সব ব্যাংকের মালিক হয়ে বসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহিত বলেন, “সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রেখে এসব ব্যাংকে বেসরকারি মালিকানা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে অনেক আগেই।
“এটি করা হলে সরকারের হাতে কিছূ শেয়ার থাকবে। আর ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাণিজ্যিক কর্তৃপক্ষের হাতে।
আশা করছি, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এর সূচনা করতে পারব। ”
রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক হচ্ছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। এছাড়া সরকারের মালিকানায় কয়েকটি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে।
সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম এই সরকারের সময়ে শুরুর ঘোষণাও দেন অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সভাপতির বক্তব্যে আবুল বারকাত বলেন, “সরকারি ব্যাংকগুলো যদি বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে কিছু লোক এর সুবিধা পাবে।
“আগামী ৫ বছরের মধ্যে এসব লোক ফুলে-ফেঁপে সব ব্যাংকের মালিক হয়ে যাবে। ”
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হয়ে আছে। শিগগিরই তা কার্যকর হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা চুরির ঘটনাকে ‘অশনি সঙ্কেত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জালিয়াতি, চুরি যে নেই, তা বলবো না। এখনো জালিয়াতি, চুরি হচ্ছে।
তবে হল-মার্ক ঘটনার পর ব্যাংক খাতে পর্যবেক্ষণ-পরিবীক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। যার সুফল পুরো ব্যাংক খাত পাবে। ”
অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আমিনুর রহমান প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
গত বছর ৪৭ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৫৩ কোটি টাকা বেশি আমানত সংগ্রহ করেছে সরকারি এই ব্যাংক।
২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে শ্রেণিকৃত ঋণের হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১১ দশমিক ১২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া গত বছর ব্যাংকের বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৭৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা বেশি।
জনতা ব্যাংকের মোট সম্পদ ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে এখন ৫৮ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের মূলধনসহ প্রভিশনে ঘাটতি নেই, বলেন আমিনুর রহমান।
৮৯৭টি শাখা নিয়ে কার্যক্রম চালানো জনতা ব্যাংকের ২০১৩ সালে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, আর এম দেবনাথ, সৈয়দ বজলুল করিম, মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাগ, এ কে এম কামরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান হিরণ।
এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক, উপমহাব্যবস্থাপক ও শাখা ব্যবস্থাপকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।