আমরা যতদূর সম্ভব আমি চেষ্টা করে যাই
প্রথমত হংকং-কে হালকা ভাবে নেয়া হয়েছিল। কেন? শ্রীলংকার মত দল পর্যন্ত বাংলাদেশকে হালকা ভাবে নেয়নি। বরং তার ১বল করে ঐ বলও চিন্তা করে করে। তারপর বলতে হয় ওপেনিং জুটি ভালো হয়নাই - হচ্ছেনা। তামিমকে বসাইয়া শামশুর রহমানকে খেলাতে পারতো।
শামশুর ভালো করছিল। আর তামিমতো খালি Dano-র বিজ্ঞাপনে চেইন-চুরি মারতেছে। সাকিব যখন আউট হল তখনো মেলা ওভার বাকি। কিন্তু মুশফিক তখন হিট করতে গিয়ে ক্যাঁচ দিয়ে চলে আসলেন। তারপর আসলেন ভায়রা ভাই।
যথারীতি ডাক মেরে বাসর ঘরে ফিরে গেলন। ক্যারে হ্যাঁতেরে ১/২ ম্যাচ বাদ রাখা যাইনা। কেও কেও বলবেন হ্যাঁতে বল ভালো করেছে। আমি বলব হ্যাঁতে যে পজিশনে বল করে যে কেও উইকেত পেতে পারেন। তারপর আসলেন নাছিরগা।
হ্যাঁতেরে এত চান্স দেওনের পরেও ডাক মারতেই আছেন। রাজ্জাকের ছয়ের মার দেখেত আমি হতাশ। বাইরের বল হিট করতে গিয়ে ক্যাঁচ দিয়ে দিলেন। আসলে হ্যাঁতেরে একদম বাদ দিয়ে দেয়া দরকার। কিন্তু কেনযে বার বার দলে নেয়া হয়।
বার বার ম্যাচ হারার পরও শিক্ষা হয়নাই। বল করেন স্পিন, কিন্তু ঘোড়ার ডিমও ঘুরেনা। না আছে লাইন, না আছে লেংথ। এরপরে বলতে হয় আল-আমিন কম্পানির কথা। তখন নাচিরের ব্যাটিং দেখে মনে হইল আল-আমিন ব্যাটসম্যান আর হ্যাঁতে বোলার।
ক্যা নাচির তখন স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখে রেখে মারার বল মেরে মেরে খেলতে পারতেন্না। আল-আমিনও বুঝিয়ে দিলেন যে আমি বোলার হলে কি হবে আমিও ছক্কা মারতে পারি-তবে সেটা ছক্কা ছিলনা, ক্যাঁচ ছিল। ক্যা ঐ টাইমে মারার দরকার কি। ফলস্রতিতে নাচির অল্পের জন্য চেইন-চুরি করতে পারেনাই! তারপর আসলো বোলিং এর ফালা। আল-আমিন কোন লাইন টাইন ছাড়াই অয়াইড দিয়ে বল শুরু করলেন।
যাক প্রথম অভারে কোন অঘটন নয়, মাত্র ১০ রান। ক্যারে বল কি অফ-স্টাম্পে রাখা যাইনা? বার বার মুশফিক বলার পরও বাহিরে বল দিতাছে। সাকিব সাকিবের কাজ করছে। ফরহাদ রেজার কথা বলতেই হই। হ্যাঁতেরে যে কিল্লাই দলে নে? কি যোগ্যতাই? না ভালো বোলার না ভালো ব্যাটসম্যান! হ্যাঁতের তুলনাই জিয়া অনেক ভালো আছিল।
কোন যোক্তীতেযে জিয়াকে বাহিরে রাখছে আমার মাথায় আসছেনা। কানাঘুষা হচ্ছেযে জিয়া ভালো করলে ভায়রা ভায়ের (মাহমুদল্লাহ) দলে চান্স হবেনা। এক্ষেত্রে নাকি মুশফিক কিরিঞ্ছি খাটাইতেছে। যদি তাই সত্যি হয়, তবে মুশফিককে এর চরম মূল্য দিতে হবে!! যদি এভাবে চলতে থাকে তবে হংকং-তো অন্তত জয় নিয়ে দেশে গেছে, মূলপর্বে বাংলাদেশের আর কোন ম্যাচ জিতা লাগবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।