আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় 'আলিবাবা' নিয়ে আসছেন শ্রীকান্ত, নচিকেতা, লোপামুদ্রা

একসঙ্গে ঢাকায় আসছেন শ্রীকান্ত আচার্য, নচিকেতা, লোপামুদ্রা মিত্রসহ ওপারবাংলার জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন কণ্ঠশিল্পী। তবে কোনও কনর্সাট বা চ্যানেলের গানের অনুষ্ঠানে নয়। তারা আসছেন ক্ষীরোদপ্রসাদের 'আলিবাবা'র নতুন সংস্করণ নিয়ে।

ক্ষীরোদপ্রসাদের 'আলিবাবা'র কথা মনে রেখেই ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় সৃষ্টি কালচার সংস্থা নিয়ে আসতে চলেছে 'বাঁদি বান্দার রূপকথা'৷ পুরো প্রোডাকশনটি পরিচালনা করছেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। এতে নাটক তো আছেই, তবে তা নাটকীয়তায় উত্তীর্ণ হয়েছে গান-নাচের মধ্যস্থতায়।

বলা যায় এটি একটি 'ডান্স-মিউজিক্যাল-ড্রামা। কিন্তু কলকাতা শুরুতেই সে কাজ দেখতে পাবে না। এই নৃত্যনাট্য সবার প্রথমেই দেখার সুযোগ পাবে বাংলাদেশের মানুষ।

এতে সুরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন জয় সরকার। আর নাটকের গান এবং ভয়েস ওভারের দায়িত্ব নিয়েছেন কলকাতার সেরা গায়ক-গায়িকারা।

সুকল্যাণের মতো দক্ষ কোরিওগ্রাফার থাকায় নাচ আলাদা করে চোখ টানবে। কোন ভূমিকায় কোন গায়ক-গায়িকা গাইছেন, ভয়েস ওভার দিচ্ছেন তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর৷

মর্জিনার গলায় গাইবেন অন্বেষা, ভিও দেবেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার৷ আবদাল্লার গলায় গান এবং ভিওতে স্বয়ং নচিকেতা চক্রবর্তী।

আলিবাবার গানে এবং গলায় রয়েছেন শ্রীকান্ত আচার্য। আলিবাবার স্ত্রী ফতেমার গান ও গলায় লোপামুদ্রা মিত্র। আলিবাবার দাদা কাসেমের গান ও ভিও দিয়েছেন অরিজিত্‍‌ চক্রবর্তী।

কাসেমের স্ত্রী সাকিনার গানে গলায় আছেন জয়তী চক্রবর্তী। আলিবাবার পুত্র হুসেনের গানে ও গলায় পাওয়া যাবে মনোময় ভট্টাচার্যকে। আবার রাঘব চট্টোপাধ্যায় গেয়েছেন ডাকাত সর্দারের গলায়।

আলিবাবার কণ্ঠে গাওয়া, ডায়ালগ বলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শ্রীকান্ত বললেন, 'আমি তো নাটকের কাজ করতে বরাবরই ভালোবাসি। বহুবার শ্রীতিনাটকে অংশ নিয়েছি।

এই কাজটাও এনজয় করেছি। ক্ষীরোদপ্রসাদের মূল নাটকের 'যেত্তা রূপেয়া তেত্তা দিগদারী' এবং সিনেমায় সলিল চৌধুরী সুরারোপিত 'ও ভাই রে ভাই' গানদুটো আমি গেয়েছি। '

লোপামুদ্রা বললেন, 'আলিবাবা নাটকটা একটা বিরাট নস্টালজিয়া। ছোটবেলায় রেডিওতে কতবার শুনেছি, পাড়ার অনুষ্ঠানে হতে দেখেছি। সেটায় নিজে কাজ করতে দারুণ লেগেছে।

সুকল্যাণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আলিবাবা নাটকের মূল যে গল্পটা তা প্রায় অবিকৃত রাখা হয়েছে। থ্রিডি ম্যাপিং করে মঞ্চে ব্যাকড্রপ তৈরি করা হয়েছে। এভাবে চল্লিশ দস্যুকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন দর্শক। থ্রিডি ম্যাপিংয়ে এভাবে ব্যাকড্রপ তৈরি এর আগে তেমন করা হয়নি। '

গল্পে কোনও পরিবর্তন আনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সুকল্যাণ বলেন, 'না।

মূল গল্পটা পরিবর্তন করা তো উচিতও নয়। তবে কয়েক জায়গায় নতুনত্ব আছে।

এখন অপেক্ষা মঞ্চের পর্দার ওঠার। কেমন দাঁড়ালো এই বিপুল আয়োজন, তা প্রথমে দেখতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম শো হবে ঢাকায়।

তারপর শো হবে কলকাতায়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।