আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সিংহপুরুষেরা চার দেয়ালে নারীকে আটকাতে চায়’

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড ম্যাসকুইলিনিটি স্টাডিজ (সিএমএমএস) পরিচালিত এক জরিপে জানানো হয়েছে, পুরুষ দুই ধরনের। সাধারণ পুরুষ ও সিংহপুরুষ। সাধারণ পুরুষেরা গৃহস্থালি কর্মকাণ্ডে নারীকে সহায়তা করে আর সিংহপুরুষেরা চার দেয়ালে নারীকে আটকে রাখতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ, সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড ম্যাসকুইলিনিটি স্টাডিজ (সিএমএমএস) ও মহিলা অধিদপ্তর আয়োজিত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে পরিচালিত একটি জরিপে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ।

জরিপে দেখানো হয়, ৮৪.৮ ভাগ পুরুষ এবং ৭৩.৪ ভাগ নারী মনে করেন পরিবারে ছেলে সন্তানই শক্তিশালী। ছেলে সন্তানের জন্য এখনো ৮৭.২ শতাংশ পুরুষ বহুবিবাহ করতে ইচ্ছুক। ৭১.২ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, নারীর ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে হলে তাঁদের পেটানো যায়। তবে গবেষক দল লক্ষ করে, ওই অঞ্চলগুলোতে নারীশিক্ষা নিয়ে পুরুষেরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা গর্ভবতী মায়েদের যত্ন নিচ্ছেন।


কর্মশালায় প্রচলিত সংস্কৃতির পরিবর্তন ছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সমাজে নারীর অবস্থান শক্তিশালী করতে প্রয়োজন কার্যকর কারিগরি শিক্ষা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের দ্বিতীয় সচিব গঞ্জালো সিরানো বলেন, ‘নারী-পুরুষের আচরণ ও মনোভাব পরিবর্তনের মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব। আশা করি, নারীকে সম্মান করা নতুন প্রজন্মের জন্য আদর্শে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নাজমুন্নেসা মাহতাব বলেন, ‘নারী ও পুরুষের মনোভাব পরিবর্তন না হলে কখনো নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। নারীকে শক্তিশালী করতে হলে প্রয়োজন শিক্ষা। শিক্ষাই নারীর ক্ষমতায়নে রাখতে পারে কার্যকর ভুমিকা। ’ তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো মনে করছেন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমি খুব শক্তিশালী।

কিন্তু না। আগে একজন পুরুষ আমার জীবন চলার পথ ঠিক করে দিত। আর এখন স্বামী, ছেলে ও নাতি আমার জীবনের চলার পথ ঠিক করে দেয়। এটাই হলো বাস্তবতা। ’
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ হোসাইন বলেন, ‘মহিলা অধিদপ্তর সৃষ্টিই হয়েছে নারী-পুরুষের ক্ষমতার সমতা আনার জন্য।

একজন নারীর ক্ষমতায়ন হলে সে সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়। সে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। তাকে কারোর ওপর নির্ভরশীল হতে হয় না। এ জন্য নারীর কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। ’



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.