আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের তল্লাশি স্থান পরিবর্তন

মালয়েশিয়ার কাছ থেকে নতুন তথ্য পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটি।

অভিযান সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষ দি অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দশটি আকাশযান ও ছয়টি জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে ১ হাজার ৮শ’ ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে ৩ লাখ ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটারের নতুন একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করবে।

অস্ট্রেলীয় ‘জিওস্পাশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন’ তাদের উপগ্রহগুলোও নতুন এলাকার দিকে তাক করছে বলে জানিয়েছে এএমএসএ।

এএমএসএ বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগর ও মালাক্কা প্রণালীর মধ্যবর্তী এলাকার রেডার (মালয়েশীয়) তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তল্লাশি এলাকার এই পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সময় মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে এই এলাকা ধরে পশ্চিম দিকে রওয়ানা হয়েছিল।



আগে যে রকম ধারণা করা হয়েছিল বিমানটি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে চলছিল বলে রেডার তথ্য বিশ্লেষণে ইঙ্গিত মিলেছে।

এর অর্থ, বিমানটি দ্রুত এর জ্বালানি শেষ করে ফেলেছে, ফলে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এটি যতদূর গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল আদতে তার চেয়ে কম দূরত্ব অতিক্রম করেছিল।

এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়ে এএমএসএ বলেছে, “এরফলে আজকের তল্লাশি আগের স্থান থেকে ১১শ’ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দলের সর্বশেষ পরামর্শ মতো এ পরিবর্তন করা হয়েছে। ”

পার্থের আড়াই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক আকাশযান ও জাহাজের এক সপ্তাহেরও বেশি অনুসন্ধান এখনও পর্যন্ত নিস্ফলাই রয়ে গেছে। যদিও উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া ছবিতে ওই এলাকায় নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।



৮ মার্চ মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর থেকে রওয়ানা হয়ে বেইজিংগামী বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রীসহ রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিমানটি ভারত মহাসাগরের কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এর যাত্রীদের কেউ বেঁচে নেই বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।