আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোবন্তের কারণে অস্বস্তিতে বিজেপি

বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে লালকৃষ্ণ আদভানির চাওয়া আসন নিয়ে মনান্তর। শেষ পর্যন্ত আদভানিকে বোঝানো সম্ভব হলেও এবার কাঁটা যশোবন্ত সিং।

পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে প্রবীণ নেতা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিংকে দল থেকে বহিষ্কার করা ছাড়া কার্যত অন্য উপায় থাকছে না বিজেপি নেতৃত্বের সামনে। কেননা বিজেপির সব বোঝানোর চেষ্টায় পানি ঢেলে রাজস্থানের বাড়মের থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যশোবন্ত।

একই সঙ্গে বিজেপি প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তোপ দেগেছেন তিনি।  

বাড়মের থেকে ভোটে লড়ার টিকিট না পেয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করছিলেন যশোবন্ত। তবে দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছিল যাতে তাকে বুঝিয়ে নিরস্ত করা যায়। ভোটের আগে তার মতো প্রবীণ নেতার বিদ্রোহ দলের পক্ষে শুভ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।

চেষ্টা চলবে বোঝানোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি যশোবন্ত নির্দল হিসেবে বাড়মের থেকে লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে দলবিরোধী আচরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সাবেক এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তার কথায়, 'দুটি মানুষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন, আমাকে ঠকিয়েছেন। একজন বিজেপি সভাপতি যিনি এ নিয়ে দুবার আমাকে আঘাত করলেন।

বসুন্ধরা রাজে এই ষড়যন্ত্রটি রচনা করেছেন। শুধু যশোবন্তের বিরুদ্ধে যে এই ষড়যন্ত্র তা নয়, বিজেপির নীতি এবং আদর্শের বিরুদ্ধেও এটি আঘাতস্বরূপ। ' যশোবন্ত এ কথাও বলেছেন যে, প্রায় দেড় বছর আগে তিনি লালকৃষ্ণ আদভানিকে জানিয়ে রেখেছিলেন, তার জীবনের শেষ নির্বাচন যশোবন্ত তার স্বভূমি অর্থাৎ বাড়মের থেকে লড়তে চান। তার কথায়, 'দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকগুলোতে বাড়মের নিয়ে কোনো ঘোষণা হলো না। রাজনাথ সিংকে ফোন করলাম।

তিনি পরদিন জানালেন, আমায় টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। বদলে কাকে দেওয়া হচ্ছে? না, কিছুদিন আগেও যে আমাদের গালি দিয়েছিলেন, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা সোনারাম চৌধুরীকে!' 

যশোবন্তের বিদ্রোহে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। দল এটা হিসাবের মধ্যে রেখেছে যে, নির্দল হয়ে দাঁড়ালে সহানুভূতি কুড়াবেন যশোবন্ত। কংগ্রেসসহ অন্যান্য দলগুলোও বিজেপির এই কোন্দলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বিতর্ক বাড়বে বই কমবে না।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোঝানোর পরও যদি যশোবন্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, তাহলে দলবিরোধিতার জন্য তাকে বহিষ্কার করতেই হবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। কিছুদিন আগে দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্য প্রবীণ নেতা রেজ্জাক মোল্লাকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। ভোটের মুখে সেই ঘটনাটি কিছুটা হলেও শিরঃপীড়ার কারণ হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের। সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচনে প্রবীণদের সরিয়ে নবীন নেতাদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য আরএসএস তথা সংঘ পরিবার চাপ তৈরি করেছে বিজেপি নেতৃত্বের ওপর। লালজী ট্যান্ডন থেকে যশোবন্ত সিং কাউকেই টিকিট দেওয়া হয়নি।

মুরলি মনোহর জোশিকেও তার প্রার্থিত আসন বারানসি না দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কানপুরে।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.