আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশ্বিনের সাফল্যের রহস্য

শুরুতেই স্পিনার নিয়ে এসে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার ব্যাপারটি দেখা গিয়েছিল ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে। সেবার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মার্টিন ক্রো অফস্পিনার দীপক প্যাটেলকে শুরুতে নিয়ে এসে আলোড়ন তুলেছিলেন। ভড়কে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানদের। আজ ২২ বছর বাদে মার্টিন ক্রোর সেই জুয়াই পরিণত হয়েছে নিয়মিত অনুষঙ্গে। টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কার মধ্যে এখন স্পিনার বা স্লো বোলারদের শুরুতে আক্রমণে  আসার ব্যাপারটি চোখসওয়া ব্যাপারেই পরিণত হয়েছে।

ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এ ব্যাপারে তাঁর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশেষ আস্থার জায়গাতেই আছেন। গতকাল বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ও এনামুল যখন প্রথম ওভারটি শুরু করলেন বিস্ফোরক গতিতে, তখন অশ্বিন এসেই পাল্টে দিলেন পরিস্থিতি। দলের হয়ে আক্রমণ শুরু করার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় অফস্পিনার আজ খুলে দিয়েছিলেন কথার ঝাঁপি। জানিয়েছেন, ইনিংসের শুরুতেই বোলিংয়ে আসার সুবিধা যেমন আছে, তেমনি এতে আছে যথেষ্ট ঝুঁকিও। এই দায়িত্ব পেলে গ্রিপের বলটাকে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখাই এতে সফল হওয়ার মূল উপজীব্য।


অশ্বিন বলেন, ‘ইনিংসের শুরুতেই বোলিংয়ে আসলে নিজের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটি ভেবে নিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট জায়গাকে কেন্দ্র করেই করতে হবে বলগুলো। এতে অবশ্য কিছু অসুবিধাও আছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা প্রথম থেকেই মারমুখো হয়ে থাকেন। তাই এ সময় বেশ কিছু ভালো বলেও মার খেতে হতে পারে।

কারণ এ সময় ফিল্ডাররা বাউন্ডারি লাইন থেকে অনেকটাই ওপরে থাকে। ’
শুরুতে বোলিংয়ে এসে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা। অশ্বিন তা পারেন বলেই তিনি এ ব্যাপারে সফল, ‘নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রান কত দিলেন, সেটাও ভাবতে হবে। পরিস্থিতিটাও বুঝতে হবে ভালোভাবেই।


নিজের বোলিংয়ে ভিন্ন কিছু প্রয়োগ করার চেষ্টা সব সময়ই অশ্বিনের থাকে। গতি নিয়ে খেলাটাও অশ্বিনের তেমনই এক ব্যাপার। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এই গতির খেলার মন্ত্রটি তিনি আবিষ্কার করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের আসরে, ‘একেকটা বল একেক গতিতে করার একটা ব্যাপার প্রয়োগ করছি। এটা আমি এশিয়া কাপের সময় থেকেই শুরু করেছি। ১০০ কি.মি গতিতে শুরু করে তা কমাতে কমাতে নিয়ে আসছি ৭৫-এ।

এটা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খুব কার্যকর একটা ব্যাপার। ’
অমিত মিশ্রর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ব্যাপারটি বেশ উপভোগ করছেন অশ্বিন। অমিতের লেগ স্পিনকে এই আসরের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র বলতেও অত্যুক্তি নেই তাঁর, ‘প্রতিটি দলই বোলিং আক্রমণে বিভিন্ন উপাদানে লাভবান হয়। আমি আর অমিত, দুই ভিন্ন উপাদান। এই টুর্নামেন্টে অমিতকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যবহার করে লাভবান হয়েছি।

সে বলের গতি অনেকটাই কমিয়ে বল করে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা যখন খুব মারমুখো অবস্থায় থাকে। গতি কমিয়ে বৈচিত্র্য এনে অমিত যখন বল করে, তা ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলতে বাধ্য এবং তা হচ্ছেও। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।