গতির রাজা উড়েন আকাশে। কনকর্ড বিমান নির্মাণের সময়ই প্রথম গতির বিস্ময়ে মানুষের চোখ দেখেছিল উড়াল গতির খেলা। বাতাসের আগে ছুটে চলা কনকর্ডের পর এবার সবচেয়ে দ্রুতগতির গোয়েন্দা প্লেন বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সমরশক্তিতে এগিয়ে থাকা এই দেশে গোয়েন্দা বিমানের সর্বশেষ সংযোজন এটি। দ্রুতগতির এ প্লেন তৈরি করার খবরটি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে গতির খেলায় এখনো এটি সেরাদের তালিকাতেই রেখেছে।
এই দ্রুতগামী প্লেনটির নাম দেওয়া হয়েছে এসআর-৭২। ম্যাশএবল এই বিমানটি নির্মাণের খবর নিশ্চিত করেছে।
বিমানটি প্রতি মিনিটে প্রায় সত্তর মাইল এবং প্রতি ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার ২০০ মাইল পথ উড়তে সক্ষম। অবশ্য প্লেনটিতে কোনো ধরনের ভ্রমণের জন্য নকশা করা হয়নি। মূলত আর্মিদের অস্ত্রশস্ত্রের জন্যই এটির নকশা।
এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এটি যে কোনো দেশকে টার্গেট করতে সম্ভব। তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের আগে এটি উড়ানো হবে না। এ খবরে আশাহত হলেও প্লেনটির সফল উড্ডয়ন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। তবে মূল নকশা ও প্রস্তুতকারকদের অগ্রগতি ইতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে প্লেনটির ওপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই ২০৩০ সালে এটিকে আকাশে উড়ানো হবে। বিভিন্ন গতিময় ফাইটার প্লেন বা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী গোয়েন্দা বিমান। রাডারের চোখ ফাঁকি দিতেই এর উচ্চগতির ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হবে। গতিশীলতার পেছনে শক্তিশালী ইঞ্জিন নির্মাণের পাশাপাশি সর্বাধুনিক নকশা ও প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটানো হবে।
গতির দিক দিয়ে সেরা যুদ্ধ বিমানগুলো নিজেরা এয়ার লক থেকে বেরিয়ে ছুটে যেতে পারে।
এই বিমানটির ক্ষেত্রেও সেটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। তার মানে এটি উড়ে যাওয়ার সময় বাতাসের ছাতা ভেদ করে ছুটতে পারবে। এটির গতি সর্বোচ্চ রাখার জন্য সেরা নকশা বাছাই করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।