আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাল ভরাট করে দোকান

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের গোপিরায় বাজারে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি সরকারি খালের প্রায় ১৫ শতক ভরাট করে দোকান নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি এলাকাবাসীর বাধা না মানায় তাঁরা (এলাকাবাসী) গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদারকে (নায়েব) বিষয়টি জানান।
তহশিলদার মজিবুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, জারুইতলা ইউনিয়নের ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। পরে পিয়ন পাঠিয়ে খাল দখলকারী ওই ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে আমার কার্যালয়ে তলব করি। পর পর তিন দিন ডাকার পরও বাচ্চু না আসেননি।

ওই পর্যায়ে বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করি। ’
এলাকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপিরায় বাজারের ওই খাল দিয়ে বর্ষাকালে শত শত নৌকায় করে মালামাল আনা-নেওয়া করা হয়। ১ নম্বর খতিয়ানের ওই খালটি দৈর্ঘ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার। এ খালের ১৫ শতক জায়গা বাচ্চু সম্প্রতি দখল করে নেন। সেখানে মাটি ভরাট করে তিনি মেঝে পাকা করে টিন দিয়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট দোকান নির্মাণ করেন।

ইতিমধ্যে দোকানগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খালটি ভরাট করায় বর্ষাকালে নৌকা চলাচল ব্যাহত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, খালটি ভরাটের সময় প্রথমে এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা এসে বাচ্চুকে বাধা দেন। কয়েক দিন পর বাচ্চু আবার মাটি ভরাট করা শুরু করেন। তখন নেতারা তাঁকে আর কিছু বলেননি।


এ বিষয়ে গোপিরায় বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি শফি উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘জায়গাটি দখলমুক্ত করতে আমিসহ এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজ না হওয়ায় বিষয়টি ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদারকে জানিয়েছি। এখন দেখি, তাঁরা কী করে?’
এ ব্যাপারে বাচ্চু বলেন, ‘আমার জায়গায় আমি আট লাখ টাকা খরচ করে ঘর তুলেছি। বর্তমানে ওই পাঁচটি দোকান থেকে প্রতি মাসে আমি ছয় হাজার টাকা ভাড়া পাচ্ছি। কোনো সরকারি জায়গা দখল করিনি।

সরকারি জায়গা হলে পরে দেখা যাবে। ’
নিকলীর ইউএনও মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মজিবুর তদন্ত করে অভিযোগ দেওয়ার পর আমি এলাকায় গিয়ে দেখি, বাচ্চু দোকানঘর তুলেছেন। যত দ্রুত সম্ভব সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।