মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনালী ব্যাংকের যেসব শাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেসব শাখাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাড়া করা ভবন থেকে নিজস্ব ভবনে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে কিশোরগঞ্জ ও বগুড়ার আদমদিঘী শাখায় সুড়ঙ্গ খুড়ে ভল্ট থেকে টাকা লুটের ঘটনার প্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংককে বেশকিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শাখাগুলোকে চিহ্নিত করে কয়েকটি শাখার ভল্টের আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ঠ শাখাগুলোর আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ চলছে।
এছাড়া অন্য শাখাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদান করতে লোকবল নিয়োগ, সিসিটিভি স্থাপনও মেঝে ঢালাই করার কাজ চলছে বলে জানান প্রদীপ।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান।
সোনালী ব্যাংকের মোট ৬৬টি শাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৩৪টি ছাড়া বাকি শাখাগুলো বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যালয় পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
গত জানুয়ারিতে সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় সুড়ঙ্গ খুড়ে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুট হয়।
এর মাত্র দেড় মাস পরে গত ১০ মার্চ বগুড়ার আমদীঘি শাখায় একই কায়দায় লুট হয় ৩২ লাখ টাকা।
কিশোরগঞ্জে লুট হওয়া অর্থ উদ্ধার হলেও আমদীঘি থেকে খোয়া যাওয়া টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি।
এরপর সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য ব্যাংকটির বেশকিছু শাখা পরিদর্শনও করে ব্যাংকিং খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।