বাগেরহাটের কচুয়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ১৪ দিন বাড়িতে আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে তার পরিবার গতকাল রাতে উপজেলার বাধাল বাজারে নির্যাতনকারী রুবেল হাওলাদারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
এঘটনায় নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা বাদি হয়ে রুবেল ও তার বোনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আজ কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে পুলিশ এখনো পর্যন্ত ওই মামলায় কোন আসামিকে আটক করে পারেনি।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কচুয়া থানা পুলিশ জানান, জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাথী গ্রামের ওই মাদ্রাসাছাত্রী গত ১৮ মার্চ পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে দিন সে ওই বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রুবেলের নেতৃত্বে কয়েকজনে মিলে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটির পরিবার গতকাল বিকালে বাধাল এলাকায় রুবেলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে।
১৯ মার্চ থেকে ওই বাড়িতে আটক রেখে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ওই মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকার দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার, মেয়ে হেলেনা আক্তার, সারাফাত হোসেনের স্ত্রী আসমা। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের ধরতে চষ্টো চালাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.মো. মঈন উদ্দিন মোল্যা জানান, ওই মেয়েটির সফটসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।