আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরামিষভোজিদের তুলনায় আমিষভোজিরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী

সুস্থ থাকতে হলে সঠিক খাবারের কোনও বিকল্প নেই। তবে সঠিক খাবারটি কী- তা নিয়ে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের মতের  কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন, সুস্থ থাকতে হলে ফল-মূল সবজি খেতে হবে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুস্থ থাকতে গেলে মাংস খেতে হবে। আর তাই তো নিরামিষভোজিদের তুলনায় যারা আমিষ বেশি খান তাদের আয়ু বেশি এবং তারা তুলনামূলকভাবে সুস্বাস্থ্যেরও অধিকারি।

অস্ট্রিয়ার মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অফ গ্রাজ'র এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, যাদের খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, শস্যাদি বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসার, নানা ধরনের অ্যালার্জি এমনকী মানসিক রোগ অর্থাৎ বিষাদ, উদ্বেগ এ ধরনের অসুখ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এমনকী তাদের আয়ুও কম হয়ে থাকে।

অস্ট্রিয়ার হেল্থ ইন্টারভিউ সার্ভে থেকে আমিষ ও নিরামিষাশী খাদ্যাভ্যাসের মানুষের বিস্তারিত জীবনযাপনের বিবরণ নিয়ে গবেষণার কাজে লাগানো হয়েছিল।

এ গবেষণার জন্য বয়স, লিঙ্গ, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমস্তরের ব্যক্তিদের চারটি দল গঠন করা হয়েছিল। যাতে ৩৩০ জন নিরামিষভোজিদের ছিলেন।

৩৩০ জন ছিলেন যারা মাংস খান কিন্তু একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফল-সবজিও খান।

তৃতীয় দলটি ছিল ৩০০ জনের, যারা মাংস-ফল-সবজি সবই খান কিন্তু কোনওটিই অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। আর সর্বেশেষ দলটি ছিল ৩৩০ জনের। যারা প্রচুর পরিমাণে মাংস খান।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিরামিষভোজি, কম মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করেন, তাদের বডি মাস ইনডেক্স নিম্নমানের হয়।

শারীরিক ও মানসিকভাবেও তারা দুর্বল হয়।

অন্যদিকে, যারা কম মাংস খান তাদের মধ্যেও দেখা গেছে, টিকারণের মতো প্রতিশেধকের জন্য চিকিৎসকদের কাছে না যাওয়ার প্রবণতাই বেশি।

যদিও প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের গবেষণার ফল মাংস ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে এবং মাংস খাওয়ার অনুপাত বাড়ানোর কারণেই এই ধরণের গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন এই গবেষণায় অংশ নেওয়া বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এই গবেষণার ফল কখনওই মাংস শিল্পের জন্য প্রচার বা তাদের জন্য বিজ্ঞাপন করা নয়।

এই তথ্য আমাদের গবেষণার তথ্য়ের সঙ্গে মিল খায় না।

তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই ফল পাওয়া গেছে। তবে কেন এরকম হয় তার কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। সেই উত্তর পাওয়ার আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

দীর্ঘকালীন সময়ে এর প্রভাব কতদূর থাকে সে বিষয়েই এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।