লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন দলনেত্রী দেখছেন, তাকেই প্রতিষ্ঠা করতে মিঠুন আমদানি করলেন নতুন সংলাপের। আসানসোলে শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত তিনটি সভাতেই বললেন, 'টিপবো বোতাম এখানে। সরকার গড়বো ওখানে। ' জনতাকে রাজ্যসভার নতুন সাংসদের চেষ্টা যে বিফলে যায়নি, লাগাতার করতালিতে তা বুঝিয়ে দিল তিনটি সভাই।
চিত্রতারকা মিঠুন চক্রবর্তী যে রাজনীতিতেও কম যান না, তা বোঝা গেল তার দ্বিতীয় স্লোগানে।
এ রাজ্যে ক্রমশ পথের কাঁটা হয়ে ওঠা বিজেপির মোদী স্ত্ততি নস্যাৎ করে নির্বাচনী প্রচারে নতুন ক্যাচ লাইনেরও জন্ম দিলেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তিনি স্লোগান তুললেন, 'হর ঘর দিদি, হর বার দিদি। ' মঞ্চে বসে মমতা তখন হাসছেন। লোক চিনতে তিনি যে ভুল করেননি, সম্ভবত সে কথা মনে করে আত্মপ্রসাদও লাভ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনীতিতে মিঠুন যে তারই চয়েস।
সেই তারকাকে দিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোটের প্রচারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মমতা। প্রথম দিনের প্রচারেই নিজস্ব ঢঙে কামাল করলেন সিনেমার 'ফাটাকেষ্ট'। ছড়া, কবিতা, গান, নাটক আগেই ব্যবহূত হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। তার হাত ধরে রাজনীতিতে এলো সিনেমার সংলাপও। ধর্মগুরুদের আপত্তিতে 'হর হর মোদী' স্লোগানটি হিমঘরে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।
তবে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএমও মিঠুনের সমালোচনা থেকে রেহাই পায়নি। তিনি বলেন, 'দাঙ্গাবাজ বিজেপিকে যেমন ভোট দেবেন না, তেমনই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বেচনেওয়ালা কংগ্রেসকেও ভোট নয়। ওদের রং আলাদা, কিন্তু ওরা আসলে একই। আর সিপিএম লুট, খুন আর সরকারি অর্থ খেয়ে ৩৪ বছরে বাংলাকে শেষ করেছে। ওদেরও আর ভোট নয়।
' রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুনও কিন্তু নিজস্ব স্টাইলে কংগ্রেস, সিপিএমকে তুলোধনা করেন।
কংগ্রেসের নাম না নিলেও মিঠুনের তাৎপর্যপুর্ণ মন্তব্য, 'পশ্চিমবঙ্গে যারা জিতবে না, তাদের সমর্থন দিয়ে ভোটটা নষ্ট করবেন না। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠান, তাতে বাংলা বাঁচবে। '
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।