এক লোক সদ্য কবর দেয়া লাশের দেহ
থেকে কাপনের কাপড় চুরি করতো। সেই
চুরি করা কাপড় বিক্রি করে সংসার
চালাতো এবং একমাত্র ছেলের লেখা-
পড়ার খরচ বহন করতো। একদিন লোকটি কাপন
চুরিতে ধরা পরে যায়। এলাকার লোক
তাকে কঠিন শাস্তি দিলেও
জীবিকা নির্বাহের অন্য কোন উপায়
না থাকায় তার পক্ষে কাপন চুরি বন্ধ
করা সম্ভব হয়নি। পরে এলাকার লোকজন
তাকে প্রচন্ড ঘৃণা করলেও কোন
শাস্তি দিতো না, বরং স্বাভাবিক
ভাবে তার চুরি মেনে নেয়।
এভাবে তার
ছেলেকে সে মাস্টার্স-ডিগ্রী পাস
করাতে সক্ষম হয়। জীবনের
শেষার্ধে এসে পুত্রকে অসিয়ত করে বলে,
"বাবা আমি সারাজীবন কাপন
চুরি করেছি এবং তা দিয়ে তোমাকে সর্ব
শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি,
লোকে আমাকে কাপন চুর বলতো,
ঘৃণা করতো। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর তুমি এমন
কাজ করবে যার
দ্বারা লোকে আমাকে ভাল বলতে বাধ্য
হয়"। কিছুদিন পর কাপন চুর
লোকটি মারা গেলে তার
ছেলে স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে।
এতে এলাকার লোকেরা কাপন চুরি বন্ধ
হওয়াতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো,
ছেলের প্রশংসায় বলতে শুরু করলো,
"বাপটা ছিল কাপন চুর আর ছেলেটা কত
ভাল"।
একদিন ছেলে চিন্তা করল কাজের
কারনে সবাই তাকেই ভাল বলছে কিন্তু
বাবাকে কেউ ভাল বলছে না, এটা বাবার
দেয়া অসিয়ত বরখেলাপ হচ্ছে। বাবার
অসিয়ত রক্ষার্থে সে শিক্ষকতার
পেশা ছেড়ে দিয়ে কাপন চুরি শুরু করলো।
তার বাবা কাপন নিয়ে লাশটাকে মাটির
নিচে ঢেকে রাখতো কিন্তু
ছেলে লাশটাকে মাটির উপরে উলঙ্গ
ফেলে রাখতো। আবার কাপন চুরি শুরু
হওয়াতে এলাকার
লোকেরা পাহাড়া বসিয়ে হাতে নাতে
চুরটা কাপন চুরার সেই শিক্ষিত ছেলে। তখন
লোকেরা বলল তর বাপতো লাশ মাটির
নিচে ঢেকে দিত তুইতো উলঙ্গ করে মাটির
উপরে ফেলে রাখিস।
তোর চেয়ে তোর
বাপ অনেক ভালো ছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।