বার্তাসংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়িয়ে আরও নতুন সদস্য সংগ্রহরে জন্য এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে সংগঠনটি। ইতালিয়ান মাফিয়া আর চীনের ট্র্যায়াডের মতোই সংগঠিত অপরাধচক্র ইয়ামাগুচি-গুমি। পতিতাবৃত্তি, চাঁদাবাজি আর ‘হোয়াইট-কলার ক্রাইমের’ অভিযোগ আছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।
নতুন সাইটে একাধিক ছবি আর ভিডিও আছে যাতে সংগঠনটির সদস্যদের ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ফুকুশিমা ভুমিকম্পের সংগঠনিটর সদস্যদের ত্রান বিতরণের ছবিও আছে সাইটটিতে।
ইয়াকুজার সদস্যপদ বা কর্মকাণ্ড বেআইনি নয় জাপানে। এর শীর্ষনেতাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব হেডকোয়ার্টার, সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতোই ভিজিটিং কার্ডও বিলিয়ে বেড়ান তারা। ইয়াকুজার বিভিন্ন বেআইনি কাজ সম্পর্কে অবহিত থাকার পরও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘দেখেও না দেখার ভান করার’ অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বন্ধুসুলভ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে ইয়ামাগুচি-গুমি। ২০১৩ সালের হিসেবে অনুযায়ী, সংগঠনটির সদ্য সংখ্যা কমে নেমে এসেছে ৬০ হাজারে, যা সংগঠনটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম।
“ইয়ামাগুচি-গুমি নতুন ওয়েবসাইটে কোনোরকমের বেআইনি কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা এড়িয়ে নিজেদের মানবতাবাদী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে”-- মন্তব্য করেছেন ‘দ্য লাস্ট ইয়াকুজা: এ লাইফ ইন দ্য জাপানিজ আন্ডারওয়ার্লড’ বইটির লেখক জকে অ্যাডেস্টেইন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।