এ দুটি এলাকার সরকারি ভবনগুলোও অচিরেই দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ।
রুশপন্থিরা সোমবার খারকিভ, ডোনেস্ক এবং লুহানস্ক দখল করে। এরপরই তারা ডোনেস্ককে গণপ্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করে এবং এলাকাটি ইউক্রেইনের শাসনমুক্ত করতে ১১ মে গণভোট করারও সিদ্ধান্ত জানায়।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন অ্যাভাকভ বলেন, ১৮ মিনিটের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে খারকিভ বিক্ষোভকারী মুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি ভবন দখলের পেছনে রাশিয়া মদদ যুগিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইউক্রেইনকে বিভক্ত করতে চায় মস্কো।
ইউক্রেইন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট অলেক্সান্ডার তুর্কিনভ জানান, খারকিভে সরকারি ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে আহত হয়েছেন।
পুলিশ কোনো রকম গুলির ব্যবহার না করেই ৭০ জনকে আটক করেছে। আটকদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ এনে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে বিচার কাজ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তুর্কিনভ।
পূর্ব ইউক্রেইনের সরকারি ভবনগুলো দখল রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলেরই পুনরাবৃত্তি বলে অভিহিত করেছে কিয়েভ।
ক্রিমিয়ায় গণভোটের পর রাশিয়া এ উপদ্বীপটিকে গত মাসে নিজ ভূখন্ডে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় এবং সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে।
রাশিয়া ইউক্রেইনে আরো কোনো হস্তক্ষেপ করলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে মস্কোকে হুঁশিয়ার করেছে নেটো।
ওদিকে, রাশিয়া হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, কিয়েভের নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসন পূর্বঞ্চলে কোনো ধরনের সেনা অভিযান চালালে তাতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে ।
রাশিয়া ইউক্রেইন সীমান্তে অন্তত ৪০ হাজার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো অভিযোগ করেছে।
এর মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের নতুন এলাকা এবং পূর্ব ইউরোপের আরো দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত এলাকা দখলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলছেন, ওই অঞ্চলে রুশ ভাষাভাষী নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সেনা সমাবেশ করেছে। ইউক্রেইনের অভ্যন্তরে হামলার কোনো পরিকল্পনা তার দেশের নেই।
ইউক্রেইনের অন্তর্বর্তী সরকারের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডানিলো লবকিভেস্কি বিবিসি বেতার ফোরকে বলেন, পূর্ব ইউক্রেইন পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ওই অঞ্চলটি এখনো হুমকির মুখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।