নার্সিসিজম
‘আমি’ ‘আমি’ করেই তবে
কাটবে কি আর সারাজীবন?
দু’দিন পরে দেখবি ফিরে
সন্নিকটে এইতো মরণ ।
আমার, আমার, আমিই সেরা
মিথ্যে অহং মরচে পড়া ।
কেবল ফাঁকি মিছে সবই
নামেই কেবল হবি কবি
থাকবেনা তোর কোনই ছবি
দিন শেষে তো সেই চেহারা
ব্যবহারে খুব বেয়ারা
নাম কামাবি ভেবেই যদি
এসব নিয়ে কী আর হবি?
নার্সিসিজম রোগের পরে
একাকীত্বে যাবিই মরে ।
মিছেই রবে এসব যে তোর
বলি, আধাঁর কেটে তোর জীবনে
জলদি আসুক নতুন ভোর । ।
ক্লোরোফিল হয়ে সবুজ করে রেখো
জেনে রেখো তোমার অজান্তেই আমার প্রতি তোমার একপলকের দৃষ্টি নিক্ষেপ বাদ পড়ে যাওয়াই আমার ভাবনার, দুশ্চিন্তার, হতাশায় কুকড়ে যাওয়ার...প্রবল গতিতে ছুটে চলা আমি হয়ে যাই মলিন, অথর্ব... তোমার অদৃশ্য পাহাড়সম অবহেলাগুলো মুহূর্তেই হয়ে উঠে দৃশ্যমান ।
সাহসিকা
চেয়েছিলাম আর কিছুটা সময়
তোমার সময়টুকু নিয়ে তুমি হেটেঁছো তোমার পথে
ভেবেছিলে কি, আমার পথ ফুরিয়ে গেছে ?
আমি হেটেঁছি, অনেকটা পথ , আজ বহুদিন পরে
যতটা হাঁটলে পরে হাঁটার আকাঙ্খা আজকের মতো বিদায় নেয় ।
রাতটা অন্ধকার হতে পারতো,
ভেবেছো তোমার আলো ছাড়া আমি অন্ধকারে প্রহর গুনবো ?
সময়টা বড্ড নিষ্ঠুর !
কারো জন্যে অপেক্ষা করে না,
তাই আমারও আর অপেক্ষার কষ্ট বইতে হয় নি ।
জোনাকিরা এসে আলো জ্বালিয়ে গেছে আমার পথে
দেখতে মোটেই কষ্ট হয় নি...
এখন আমি তোমার আলো ছাড়াই হাঁটতে শিখে গেছি । ।
আগের মতোই অাছো
তোমাকে কারো সম্মুখে দাঁড় করাইনি
আঁধারে সবার আড়ালেই আছো তুমি ।
মিছে ভয়ে সিঁটে থাকার অভ্যেসটা বাদ দাও এবার
দেখ, তোমার সামনে এই আমি
যাকে প্রতি মুহুর্তে করছো অবিশ্বাস ,
অথচ আজ অবধি করিনি তেমন কোন কাজ ।
সন্দেহ, তোমায় বিষিয়ে তুলেছে আমার প্রতি তোমার অনুরাগ
সম্পর্কের মাঝে মিছেই ধুলো পড়েছে, হয়েছে মলিন ।
ছুঁয়ে দেখো, এখনও চকচকে আছে
সবকিছুই, আগের মতো ।
সীমাবদ্ধতা
আমার সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি...
আমি আজও সন্দেহের চোখে তাকাই
দেখি, তোমার কপালে নজর টিপটি ঠিকমতো লাগানো আছে কি না ।
বার বারে ঘুরে ফিরে দেখি তুমি ভুল করেও নজর টিপ এড়িয়ে কাউকে ভালোবেসে ফেল কি না ।
আমার সীমাবব্ধতা থেকে আমি আজও বেরুতে পারিনি ।
অনেক দিন তুমিতে আমি নেই বা আমিতে তুমি ।
তবুও আমার ভালোবাসারা সময়ে সময়ে আমাকে অস্থির করে ফেলে ।
খুঁজে ফিরি নজর টিপটি...
যেন তোমাতে কারো নজর না পড়ে !
সে
পেছনের একজন...
নিরবতার আড়ালে থাকা একজন
প্রতিনিয়ত নিরব থেকেই আমায় বলছে,
এগিয়ে যাও বন্ধু...
পাশেই আমাকে পাবে ।
আমি রক্তাক্ত রাজপথ পাড়ি দেবার ভয়ে থমকে দাড়াই !
ভয়ার্ত দৃষ্টিতে পাশে তাকিয়ে দেখি
আস্বস্তের কোমল হাতটা এগিয়ে দিয়েছে
ভরসায় শক্ত করে বলছে,
বন্ধু, পাশেই আছি... এগিয়ে যাও ।
কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে ইতস্তত আমি
ভাবনায় পড়ে যাই, পিছলে যাব তো !
পাশেই দেখি ভরসার হাসি মুখ, নিরবে দাঁড়িয়ে
আমি এগিয়ে যাই,
জানি আড়ালে থেকেও
নিরব থেকেও ভরসার হাতটি বাড়িয়ে আছে ।
পাশেই আছে 'সে' । ।
অক্সিজেন হয়েই আছো
কোন এক শেষ বিকেলে সে আমার হাতটা ধরে বলেছিল ... "আমার সাথে থাকবা না?"
হ্যাঁ, আমি কথা দেই নি।
কিন্তু কথাটা না দিয়েও রেখেছিলাম।
সেইই বরং কথা রাখতে পারে নি। সাথেই আছি...আমি ছেড়ে যেতে পারি নি। সেই হারিয়ে গেছে..হারিয়ে গিয়ে নিজেই হেরে বসে আছে !
আমি কিন্তু জিতেই গেছি ! আমি জিতেই আছি ! আজও আমার ভালোবাসার সবটা জুড়ে সে আছে ।
একটা সময় আবিষ্কার করেছিলাম আমার শ্বাস কষ্টের রোগ হয়ে যাচ্ছে।
ইনহেলারের প্রয়োজনটা বড্ড বেড়ে গেছে !
হ্যাঁ, ইনহেলার সেই-ই ছিল । কিন্তু সে বুঝতে পারে নি, আমি আমার শ্বাসকষ্টের রোগটা থেকে নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারবো ।
সারিয়ে আমি নিজেকে তুলেছি ঠিকই কিন্তু ...এখনও আমার অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায়...
অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায় যখন ভাবনায় তুমি এসে ভীড় করো ।
তুমি আমার জীবনে যে অক্সিজেন হয়েই আছো !
উৎসর্গ : জীবনে আশীর্বাদ হয়ে থাকা প্রিয় বন্ধুদের ।
-যখন যা মনে এসেছে লিখেছি ।
এসব কবিতা হয়েছে কি না জানি না । কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো তাও জানি না । সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো তাই ব্লগে প্রকাশ করা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।