বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ফেরাতে পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথায় এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ পলাতকদের ফেরাতে উচ্চ পর্যায়ের এই টাস্কফোর্স গত ২৫ মার্চ পুর্নগঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সদস্য।
বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফেরাতে ২০১০ সাল থেকে এই টাস্কফোর্স কাজ করলেও এর পরিধি এখন বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তারেক রহমানের প্যারোল বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “তারেক এখনো কোনো মামলায় সাজা পায়নি, তবে তার বিরুদ্ধে একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে।
“আদালত তার (তারেক) জামিন বাতিল করে কোর্টে হাজিরের আদেশ দিয়েছেন। তিনি হাজির হননি, তাই তিনি পলাতক। এছাড়া কোকোর সাজা হওয়ার পরেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় সেও পলাতক। ”
এই টাস্কফোর্সের কাজ হচ্ছে বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নামের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ এবং ফেরত আনার কার্যক্রম তদারকি করা।
সেক্ষেত্রে তারেক ও আরাফাতকে ফেরাতে এই টাস্কফোর্স উদ্যোগ নিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “বিদেশে পালিয়ে থাকা সবার বিষয়েই আলোচনা করেছি।
ঘন ঘন টাস্কফোর্সের সভা হবে, যা বোঝার বুঝে নিয়েন।
“এই টাস্কফোর্সটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সম্পূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। তবে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তা বলতে পারছি না। ”
অগ্রগতি দেখতে চাইলে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন আনিসুল হক।
খালেদার বড় ছেলে তারেক বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন, ছোট ছেলে আরাফাত রয়েছেন থাইল্যান্ডে। মুদ্রাপাচারের মামলায় আরাফাতের অনুপস্থিতিতে তার সাজা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।