আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দু'টো সিনেমা নিয়ে স্মৃতি



অনেকে হয়তো ক্যাপশন পড়ে হাসছেন, অনেকে বিরক্তও হতে পারেন – রোজার দিনে সিনেমা নিয়ে লেখালেখি! এই মেয়ের কি মাথা নষ্ট? তারপরও লিখছি কারণ দু’টো সিনেমার কথা মাথায় ঘুরছে। আপনাদের অনেকেই হয়তো সিনেমা দু’টি দেখেছেন। এই সিনেমার সাথে দু’টি স্মৃতি জড়িত। আমির খান এবং জুহি চাওলা অভিনীত কায়ামাত সে কায়ামাতাক প্রথম দেখা কোন হিন্দি সিনেমা। যার কারণে কখনই এই সিনেমার কথা ভোলা হয়নি।

বলতে অপেক্ষা রাখেনা যে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে যখন কায়ামাত সে কায়ামাতাক মুক্তি পায় তখন কতজন ভেবেছিল যে আমির খান একসময় একজন বড় তারকা হবেন। এখনও এই সিনেমার গানগুলো দেখলে ইউটিউবে ভাবি, কি সুন্দর কথা আর গান! এরপর কত হিন্দি সিনেমা দেখেছি যার বেশিরভাগেরই চিত্রনাট্য অথবা পাত্র-পাত্রী কারা ছিলেন মনে করতে পারি না। আর কেয়ামত থেকে কেয়ামত হলে গিয়ে দেখা প্রথম বাংলা সিনেমা। যারা হলে তেমন একটা যেতেন না তারাও সেই সময় এই ছবিটি দেখতে হলমুখী হয়েছিলেন।

সালমান শাহ্ আর মৌসুমী বাংলা সিনেমার অনেক পুরনো প্রথা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এরপর আর কোন মেইনস্ট্রিমের বাংলা ছবি হলে গিয়ে দেখা হয়নি। কেয়ামত থেকে কেয়ামত দেখতে হয়তোবা আব্বু নিয়ে যেতেন না কিন্তু আনন্দ ফিল্মস থেকে তাকে চারটি টিকেট দিয়ে যাওয়ায় আ্মাদের সুযোগ হয়েছিল ছবিটি দেখবার। বেশ কয়েক বছর পর দিপু নাম্বার টু দেখেছিলাম হলে গিয়ে। সেই সময় সমবয়সী অনেক ছেলেমেয়েই দেখেছিল হলে গিয়ে দিপু নাম্বার টু।

গল্পটি আগে থেকে পড়া ছিল দেখে আগ্রহটাও অনেক বেশি ছিল। আম্মু আমাকে, ভাইকে, এক খালাতো বোন আর আমাদের বাসায় কাজ করতো একটি মেয়ে তাকে সহ গিয়েছিল ছবিটি দেখতে। মনে আছে আব্বু অফিসের পিয়নকে দিয়ে টিকেট পাঠিয়ে দিয়েছিল সকাল বেলায়। আচ্ছা যা বলছিলাম, কেয়ামত থেকে কেয়ামত রিমেক হলেও স্বীকার করতে হবে সোহানুর রহমান সোহান খুব ভাল কাজ করেছিলেন সেই সময়। ১৯৯১ সালে মধ্যবিত্তদের টেনে এনেছিলেন হলে।

অনেক কারণেই তাই সিনেমা দু’টি এখনও মনে গেঁথে আছে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।