আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১লা বৈশাখ না বেহায়াপনা?







জীবনে কিছু কথা বলতে গেলে বিবেক বাঁধা আসে, তার কারণ আমরা এমন কিছু করি যা

অতি নগণ্য এবং জঘন্য, আগামী ১৪ই এপ্রিল আমাদের নিকট আগমন করবে ১লা

বৈশাখ। এই বৈশাখ আমরা পেয়েছিলাম সম্রাট আকবরের আমলে। তিনি এই বাংলায়

বাংলা সনের ১লা বৈশাখ প্রচলন করেছিল ইংরেজদের পশ্চিমা কালচার ( বেহায়াপনা

সংস্কৃতি ) থেকে বাংলার সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য। পাঠক সমাজ আপনারা

হয়তো অবগত আছেন যে, ইহুদীরা ম্যারি ক্রিসমাস ( বড় দিন ) বা ৩১ থাটি ফাস্টনাইট

পালন করত নারী পুরুষ ও পুরুষ নারীকে আলিঙ্গন করে চুমু দেয়ার মাধ্যমে। তিনি এই

পশ্চিমা কালচার থেকে বাংলাকে মুক্ত করে প্রয়াসে ১লা বৈশাখ প্রথা প্রচলন করেন।

মাঝে

মাঝে আমি অবাক হয়। আমাদের মুরব্বী দাদা-দাদী, নানা- নানী থেকে শুনতাম ওনারা

নাকি ১লা বৈশাখে এক বাড়ী হতে অন্য বাড়ীতে দেশীয় চালের বিভিন্ন রকমের পিঠা চিঠা

নিয়ে যেত যাতে তাদের মধ্যে ঐ পশ্চিমা ভাবটা না আসে, কিন্তু আজ তাজ্জব হয়ে যায়

যখন ১লা বৈশাখ আসে আমাদের দেশের তরুণ- তরুণীরা বিভিন্ন সাজে রঙে ঢঙ্গে রাস্তায়

বের হয়, এবং বাংলাদেশের সবোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ব্যানার,

মুখোশ, পোস্টার নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। যা বাংলাদেশের জন্য অপসংস্কৃতি।

কেননা ব্রিটিশরা বড়দিন বা ৩১ নাইট পালন করত মুখোশ পরে। আমদের দেশেও এই


অপসংস্কৃতি ঢুকে পড়ে ছেয়ে ফেলেহে আমাদের স্নগস্কৃতিকে।

এই অপসংস্কৃতিতে বাংলার

তরুণ- তরুণীরা স্বতস্ফুত ভাবে অংশগ্রহণ করে আমাদের বাংলাকে কলুষিত করেছে।

ঢাকার রমনার বটমূল। প্রেসক্লাব, ফ্যান্টাসি কিংডম, ফয়েজলেক, চট্রগ্রামের নজরুল

স্কোয়ার ( ডিসি হিল), সি,আর, দও রোড অন্যান্য স্থানে বাংলা সংস্কৃতি নামে নাচে- গানে,

হৈ হুলোড় করে বিভিন্ন ভাবে বেহায়াপনায় লিপ্ত হয়। হাদীসে পাক এ আছে- “যে নারী

পর্দা করল কিন্তু মুখ খোলা রাখল সে যেন জানালা বন্ধ করে দরজা খুলে দিল”। অপর

হাদীসে আছে- “যে নারী নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষকে দেখানোর জন্য সাজে

তার জন্য জাহান্নামের আগুন অবধারিত”।

তাই আজ আমরা ১লা বৈশাখ নিয়ে যে

বেহায়াপনায় লিপ্ত হচ্ছি তা ঐ ব্রিটিশ ইংরেজদের চেয়েও কম নয়। তাই তরুণ- তরুণী,

আবাল-বৃদ্ধ /বৃদ্ধা সবাইকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি ফিরে আসুন অপসংস্কৃত হতে মেনে

চলুন দেশীয় সংস্কৃতিতে। দেশকে ভালবাসুন দেশের পণ্যকে ভালবাসুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।