"মাইজভান্ডার থেকে ফিরে এসে কালিমা পড়লেন হাটহাজারীতে" সুমন দাস বেরিয়েছেন সত্যের সন্ধানে। ছোটকাল থেকেই জাগ্রত বিবেকের অধিকারী সে। জন্ম সূত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু বাল্যকাল থেকেই তার কাছে ভালো লাগেনা হিন্দুধর্মের রীতি- নীতি। খুঁজে পাননি তাদের নির্জীব মূর্তীদের পূজা অর্চেনায় মানসিক প্রশান্তি।
অর্থাভাবে পড়াশুনা বেশীদূর করতে না পারলেও প্রাথমিক শিক্ষাটা সমাপ্ত করতে পেরেছে। সত্য তালাশের মানসে কর্মের অবসরে ধর্মীয় পুস্তকাদি অধ্যয়ন করত সে। এক পর্যায়ে কিছু ইসলামী বই আসে তার হাতে। সেগুলো অধ্যায়ন করে ইসলাম ধর্মের প্রতি একধরণের টান অনুভব করে । কেন যেন মনে হতে থাকে এটাই একমাত্র সত্য ধর্ম।
কিছুদিন হল সে স্বপ্নে দেখেছে টুপি পড়ে মসজিদে যাচ্ছে। এই স্বপ্ন তাকে ইসলাম ধর্মের প্রতি আরও
বেশী আগ্রহী করে তোলে। আজ সে ইসলাম ধর্মগ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়ীতে কাউকে কিছু না বলে বেড়িয়েছে শহরের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে দেখা হয় এক মাইজভান্ডারীর
ভক্তের সঙ্গে।
তার ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ দেখে তাকে নিয়ে যান মাইজভান্ডারের বাবার
কাছে।
কিন্তু সেখানকার গান বাজনার পরিবেশ এবং ভক্তদের বাবাকে সেজদা করার দৃশ্য দেখে তার
জাগ্রত বিবেক আপত্তি তোলে। পরে সেখান থেকে কৌশলে ফিরে আসে সে। রাস্তায় দেখা হয়
হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। সব কিছু শুনে তাকে নিয়ে আসেন
হাটহাজারী মাদ্রাসায়।
তুলে দেন মুফতি আবূ সাঈদ হুজুরের হাতে। হুজুর তাকে গুরুত্বপূর্ণ
দিকনির্দেশনা দান করে পড়িয়ে দেন ইসলামের মহামুল্যবান কালিমা এবং তার নতুন নাম রাখেন
আব্দুল্লাহ। ইসলাম ধর্মে দীক্ষা লাভ করে মহাখুশি আব্দুল্লাহ। যেন আজ খুঁজে পেলেন
অস্থির হৃদয়ের প্রশান্তি। আব্দুল্লাহকে বলা হয়েছে ইসলাম ধর্মগ্রহণের কারণে পরিবার থেকে অনেক নির্যাতন আসতে পারে।
প্রতিউত্তরে আব্দুল্লাহ
বলেছে,তারা আমাকে মেরে ফেললেও আমি সত্যকে ছাড়বনা!
লিখাটি শেয়ার করে সবাই কে জানার সুযোগ
করে দিন।
(তার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
জান্তে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুফতি আবু সাইদ
সাহেব হুজুরের সাথে যোগাযোগ করুন।
ফেইজবুক থেকে নেয়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।