আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুকম্পন অতি স্বাভাবিক ঘটনা।

অদ্য কিছুক্ষণ পূর্বে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.৫। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মিনাবাও হতে ৫০ মাইল পূর্বে। মহাশুণ্যের স্পেসে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সকল নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্যালাক্সি, ব্ল্যাকহোল, নীহারিকা ইত্যকার যাবতীয় বস্তুই ১৩.৭ বিলিয়ন বৎসর পূর্বে সংঘটিত ইস্রাফিল আঃএর শিঙ্গার ফুৎকার (বিগ ব্যাং) হতে সৃষ্টি লাভ করে অবিরাম সঞ্চরণশীল অবস্থায় অস্থির জীবন যাপনে অভ্যস্ত। পৌণে চৌদ্দশত কোটি বৎসর যাবত গ্যাসীয় পুঞ্জ ক্রমান্বয়ে ঠান্ডা হতে হতে আজকের এই পর্যায়ে উপণীত হয়েছে।

মহা বিশ্বের ম্যাটার সমূহ স্পিন করে করে নিজস্ব কক্ষপথে সঞ্চরণশীল। স্পিনের কারনে সবই গোলাকৃতিময়। প্রত্যেকেরই অভ্যন্তরস্থ ম্যাটারসমূহ এখনো উষ্ণ এবং গ্যাসীয় পদার্থে ভরপুর। আর শীতলতা প্রাপ্ত গ্রহ উপগ্রহগুলোর শক্ত ‍উপরিভাগ ফুটবলের অনুরুপ বিভিন্ন প্লেটে বিভক্ত থাকায় গ্যাসীয় চাপ এবং তাপে কিঞ্চিৎ সঞ্চরমান বিধায় প্লেটগুলো প্রায়শই একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক। ফলে ভূউপরিভাগে প্লেটনিক ঘর্ষণজাত কম্পন অনুভূত হয়।

অগ্নিগিরির বিস্ফোরণজাত কম্পনেও ভূভাগ কম্পিত হতে পারে। এগুলো আমরা ক্লাশ টুতেই পড়েছি। কিন্তু এটা জানেন নাকি যে, পৃথিবী ক্রমান্বয়ে তার ভর হারাচ্ছে এবং কক্ষচ্যূত হয়ে সূর্যের কাছে চলে যাচ্ছে! এ’ভাবে অবিরাম ঘটতে থাকলে কক্ষচ্যূতির কারনে পৃথিবীতে ভয়াবহ ভূকম্পন হওয়ার আশংকা আছে কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।