আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলিন্স অভিধানে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’

ভালো কিছু করতে চাই দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ তারকা সাইয়ের সাড়া জাগানো ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ শব্দবন্ধটি কলিন্স অভিধানে ঠাঁই পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা আইএএনএস প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ শব্দবন্ধের স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে কলিন্স অভিধানের পরামর্শক সম্পাদক আয়ান ব্রুকস বলেন, ‘আমরা এমন শব্দ খুঁজছি, যা চলতি বছরের গল্প বলে। এটি তেমনই একটি শব্দবন্ধ। ’ ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ ছাড়াও এ বছর কলিন্স অভিধানে ঠাঁই পেয়েছে ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ ও ‘রমনি স্যাম্বলস’) নামের দুটি শব্দবন্ধ।

পুরো বিশ্ব এখন গ্যাংনাম স্টাইলে মশগুল। ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ ভিডিওটি ইউটিউবে সর্বোচ্চ দেখা ভিডিও হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। জুলাই মাসে ইউটিউবে পোস্ট করার পর এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১০০ কোটির বেশি বার দেখা হয়েছে বলে আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি অভিজাত এলাকার নাম ‘গ্যাংনাম’। ব্যতিক্রমী নাচের ওই ভিডিওটির নামের জন্য এ এলাকাটিকেই বেছে নিয়েছেন পপ তারকা সাই।

তাঁর নাচে ফুটে উঠেছে অদৃশ্য ঘোড়ার ওপর বসে মজা করার বিশেষ ব্যঙ্গ নাচ। সাইয়ের গ্যাংনাম স্টাইলের এ নাচের বিভিন্ন সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় ইউটিউবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এমটিভি ইউরোপ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের সেরা ভিডিও হিসেবে পুরস্কার জিতেছে সাইয়ের গ্যাংনাম স্টাইল। ইউটিউবে সবচে বেশি লাইক পাওয়ার রেকর্ডও এ গানটির। সেরা লাইক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাস্টিন বিবারের ‘বেবি’কে ছাড়িয়ে গেছে ‘গ্যাংনাম’।

পার্ক জে-স্যাং-ই মূলত সাই নামে পরিচিতি। তাঁর বাবা দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত একটি সেমিকন্ডাক্টার প্রতিষ্ঠানের প্রধান। যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে এসে সাই তাঁর কলেজ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। লেখাপড়ার পেছনে খরচ না করে তিনি সে টাকায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র কিনতেন। পরে বার্কলি কলেজ অব মিউজিক থেকে তিনি সংগীত বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পান।

২০০১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় তাঁর প্রথম গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হলে শুরুতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। মজা করে গান গাওয়াটাকেই আদর্শ মনে করেন কালো রোদ চশমা আর অভিজাত পোশাকে সেজে থাকা ৩৪ বছর বয়সী সাই। গ্যাংনাম স্টাইল বা অদৃশ্য ঘোড়ার ওপর চড়ে আজগুবি নাচের জন্যই সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তাঁর।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।