জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা আজকে শ্রীমঙ্গল রেল ষ্টেশনের প্ল্যাটফরমে একটা দৃশ্য দেখে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। এরকম অনেক দৃশ্যই হয়তো মনোযোগের অভাবে চোখে পড়লেও হারিয়ে যায় । আজকে কেন যে মনোযোগ দিয়ে মনকে ভারাক্রান্ত করলাম বুঝতে পারছিনা । একটি শিশু বয়স ৮/৯ মাস হবে গায়ে পাতলা একটা ময়লা স্যুয়েটার নীচে একদম খালি । ঠান্ডা (শ্রীমঙ্গলের শীত সম্পর্কে নিশ্চয়ই অবগত আছেন ) প্ল্যাটফরমের উপর হামা দিচ্ছে এবং হাপুর কেটে প্রচন্ড চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে একদিকে যাচ্ছে শিশুটি নিশ্চয়ই ক্ষুধার্ত এবং শীতে কাতর ।
প্ল্যাটফরমের এক কোনায় এক মা তার যৎসামান্য সামগ্রী নিয়ে অস্থায়ী সংসার পেতেছেন এবং শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে যেদিকে যেতে চাইছে সেদিকে মুখ করে বকাঝকা করছেন আর সব মনোযোগের কেন্দ্রে যিনি আছেন তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অবলীলাক্রমে হেটে দূরে চলে যাচ্ছেন উনি শিশুটির পিতা । শিশুটি বাবার কোলের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রত্যাশায় বাবার কাছে পৌছাতে চাইছিলো ওনার গায়ে একটা গরম চাদর তার উপরে একটা লাল কম্বল জড়ানো আমি হেটে এগিয়ে লোকটির মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রী সন্তানের জন্য কোন অনুভূতি খুজে পেলাম না । আমার ক্যমেরা যুক্ত মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে না হলে ছবি দিতে পারতাম । আমরা যখন একটি শিশুকে জন্ম দেই সে অন্ন বস্ত্র আশ্রয় চিকিৎসা শিক্ষার অধিকার নিয়ে জন্মায় । আমরা চেষ্টা করি সেই অধিকার টুকু রক্ষা করার কিন্তু এই স্লাম পিপলগুলো কি করছে ।
শুধুমাত্র জন্ম দিচ্ছে দায় দায়িত্বের ধারে কাছেও নেই । এভাবে জনভারে ভারাক্রান্ত হচ্ছে আমাদের দেশ আর এগুলো দেখার দায়িত্ব যাদের তারা শুধু জন্মনিয়ন্ত্রন সামগ্রীর কাটতি দেখেই সন্তুষ্ট । আর দেশ পরিচালনার নেতা নত্রীরা আছেন ক্ষমতা দখলের কামড়া কামড়ি নিয়ে ব্যস্ত । আমার সোনামণিকে আমি যেভাবে বুকে আকড়ে ধরে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করি । এই শিশুটি কেন সেই অধিকার পাবেনা ।
ঐ পাষন্ড বাপটাকে আমার চাবকাতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু পারিনি কারন সমগ্র দেশ জুড়ে তো একই দৃশ্য ছড়িয়ে আছে। তাই অক্ষমতার যন্ত্রনায় ভারক্রান্ত আমি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।