সেদিন পার্কে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পার্কের একটা বেঞ্চে বসলাম। বেঞ্চে আরো দুজন বসে ছিলেন। তাঁরা ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। বেঞ্চে বসে তাঁরা ঝগড়া করছিলেন।
উচ্চস্বরে নয়, নিচু স্বরে। বেঞ্চে বসে আমি এমন ভাব করতে লাগলাম যেন আমি তাঁদের ঝগড়া কিছুই শুনছি না। দুজনের ঝগড়ার বিষয়বস্তু ছিল অনেকটা এরকম—
স্ত্রীঃ প্রতিদিন অফিসে যাবার পর তুমি আমাকে একবার ফোন পর্যন্ত করো না।
স্বামীঃ অফিসে কাজের চাপে ব্যস্ত থাকি। ফোন করার সময় কোথায়?
স্ত্রীঃ ওরে আমার অফিস রে! সরকারি অফিসে এত কীসের কাজ? অফিসে বসে কী করো তা আমি জানি নে মনে করছো।
স্বামীঃ এই আমি কী করি?
স্ত্রীঃ অফিসে তো সুন্দরীর অভাব নেই। ওদের সাথে সময় কাটালে কি আমার কথা......
স্বামীঃ মুখ সামলে কথা বলো বলে দিচ্ছি।
স্ত্রীঃ তুমি কি করবা? মারবা?
এরপরে তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছিল তা শুনতে পাই নি। কারণ তাঁরা বেঞ্চ থেকে উঠে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন।
আমাদের সমাজে খুব তুচ্ছ কারণেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ঝগড়ার পরিণতি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। অথচ আমরা যারা চাকরি করি তারা যদি অফিসে থাকার সময় একবার স্ত্রীকে ফোন দিই, তবে একদিকে যেমন স্ত্রী খুশি হবে, অন্যদিকে নিজের মনেও শান্তি আসবে। ফোন দেবার সময় না হলে মোবাইলে একটা খুদে বার্তা দিলেও স্ত্রীরা খুশি হয়। পক্ষান্তরে স্ত্রীরাও যদি স্বামীকে একটা খুদে বার্তা পাঠায় তবে স্বামীরা খুশি হবে। তবে খুদে বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকেই ভেবে পান না কী বার্তা পাঠাবেন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুদে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য একটি বই বের হয়েছে। বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়তে পারেন। ৮২-৮৩ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রথম দিকে কয়েকটি কবিতা রয়েছে। ১৭ পৃষ্ঠা থেকে শুরু হয়েছে খুদে বার্তা। বইটি পড়তে http://www.raselalmamun.com/index.php/book-1
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।