সোমবার ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ হারুনুর রশিদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব পাঠানগড় গ্রামের কবিরাজ মো. বেলাল খন্দকার, তার সহযোগী উপজেলার বাঁশপাড়া নদীরকুল গ্রামের মো. নাসির উদ্দিন ও একই গ্রামের মো. নুর নবী মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় মো. নাসির উদ্দিন ছাড়া বাকি দুজন পলাতক ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী দিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক সাংবাদিকদের জানান, ফুলগাজী উপজেলার ধলিয়া গ্রামের মৌলভী তোফাজ্জল হোসেনের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে মো. জাকির হোসেনের (৪০) চিকিৎসার দায়িত্ব নেন কবিরাজ মো. বেলাল খন্দকার। এজন্য ১৫ হাজার টাকার একটি মৌখিক চুক্তি হয়।
২০০৫ সালের ৭-১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় জাকিরকে বারবার পুকুরে ডুবানো হয়।
এক পর্যায়ে সে অচেতন হয়ে গেলে কবিরাজ তাকে একটি কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মধ্যে রেখে চলে যায়। এরপরই মারা যান জাকির।
এ ঘটনার পর জাকিরের ভাই ফয়েজ উল্যাহ বাদী হয়ে কবিরাজ ও তার দুই সহকারীকে আসামি করে ফুলগাজী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান আইনজীবী দিজেন্দ্র।
তিনি জানান, বিচারক প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।