। বাউন্ডুলে ব্লগার। অবশেষে শাহিনাকে আমরা হারালাম। বিধাতার এ এক নির্মম খেলা। উদ্ধারকারী জীবন বাজী রেখে চেষ্টা করেছেন।
একজন তো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলেছেন হাসপাতালের বিছানায়। শাহিনার দেড় বছরের সন্তানকে আর শাহিনা দুধ খাওয়াতে পারলেন না। খবরে সব কিছু দেখে ঠায় বসে রইলাম। উদ্ধারকর্মীদের সেই কান্না, সে যেন নিজের বোনের চাইতেও বেশী আপন। উদ্ধারকর্মী ভাইদেরকে সহস্র সালাম।
এমন দৃশ্য পৃথিবীতে বিরল। এ শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। ভাই তোমরা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ধারকর্মী। সেই সঙ্গে রাগে ভাষাহীন হয়ে রইলাম, কারণ শেষের দিকে অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল (সূত্র ফরজানা রূপা-একাত্তর টেলিভিশন)! তার পর উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তারা তিরিশ মিনিট সময় পায় শাহিনা কে উদ্ধার করবার জন্য। এজন্য একটু তারাতারি করতে হয়েছিল, তাই হয়ত এই আগুনটি লেগেছিল।
অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবার সিদ্ধান্ত যিনি দিয়েছিলেন তার কি কোন দায় নেই শিরিনের মৃত্যুতে? শিরিনাকে উদ্ধারে আরো সময় দেওয়া যেত। আমরা তো টেলিভিশনে দেখেছি রাতভর কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে আপনাদের মতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে! আপনার অনেক কিছুই করতে পারতেন কিন্তু করেননি। আপনার কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব হতো। ওরা বিশাল বিশাল কপ্টার ব্যবহার করে এই ধরনের উদ্ধার কাজে। আমেরিকা থেকে আসতে কতক্ষন লাগতো? আফগানিস্তান থেকে মেরিনদের ব্যবহার করা থারমাল গগলস অথবা ডিভাইস আনা যেত।
তারা দিত কিনা সেটা অবশ্য আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে ইদানিং তাদের যা সম্পর্ক! এখন সময় এসেছে আমাদের ফায়ার ফাইটাদেরকে আধুনিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়া। বেচারা রা কত বছর আগে ২৫০ টি রেডিও কমিউনিকেশন ডিভাইস এর আবেদন করে রেখেছে, আজও তার হদিস পায়নি। আটকে রয়েছে তা প্রশাসনিক জটিলতায়। আর এদিকে আমাদের দুর্যোগ মন্ত্রী বিদেশে ঘুরে বেরান।
আমাদের ফায়ার ফাইটারদের প্রজেকশান ল্যাম্প সহ হেলমেট নেই! হায় আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা! স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ও সেনাবাহিনীর সাধারণ যেসকল সদস্য শাহিনাকে উদ্ধারের জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছেন তাদের জানাই লক্ষ কোটি সালাম। তোমরাই আমাদের প্রকৃত বীর। উদ্ধারকারী ভাইসকল আপনারা নিজেদেরকে দোষী করবেন না দয়া করে। আপনারা যা করেছেন তা এই জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, আমাদের হৃদয়ে তো বটেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।