আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! আমি নিশিকে আর বেশি রাগিয়ে দিতে চাই না । তাই চুপ করে রইলাম ! কিন্তু আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে নিশি যেন আর একটু বেশি রেগে গেল । আমার দিকে আবার তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপার কথা বলছো না কেন ?
আমি নীরিহ বালকের মত বললাম
-তুমি না বলেছ যখন তুমি রেগে যাবে আমি যেন কোন কথা না বলি ! আমাদের কন্ট্রাকেও তো এই কথাটা ছিল ।
নিশি বলল
-এই কথাটা খুব মনে আছে । আর অন্য কথা গুলো ? সেগুলো ?
-আআআ দেখো ... পরিবেশ পরিস্থিতি মাঝে মাঝা মানুষকে ...
-ফিলোসপি ফলাবা না ! আমার সামনে থেকে এখন চলে যাবা ! আর কোন দিন আমার সামনে আসবে না ।
আমাকে ফোন দিবানা !
-মেসেজ পাঠানো যাবে ?
নিশি কথার মাঝখানে বাধা পেয়ে যেন আর একটু খানি রেগে গেল ।
-তোমার সাথে কথা বলা আর কলের পাইপের সাথে কথা বলাটা এক । তুই যদি আর একবার আমাকে ফোন দিয়েছিস !
নিশি আর দাড়াল না । ঘুরে হাটা দিলো ।
আমার একবার মনে হল ওকে এখনই ফোন দিয়ে ওর রাগটা আর একটু বাড়িয়ে দেই ।
কিন্তু পরে ভাবলাম থাক আর রাগ বাড়িয়ে লাভ নেই । রেগে গিয়ে মোবাইলটা ছুড়ে মারতে পারে ।
অবশ্য আমি খুব বেশি চিন্তিত হলাম । নিশির রাগ বেশিক্ষন থাকবে না । যদিও আজকে ওর রেগে যাওয়াটা যুক্তি সংগতই ছিল ।
বেচারীকে প্রায় ঘন্টা খানেক এখানে বসিয়ে রেখেছি ।
নিশির সাথে রিলেশনের তিন নম্বর শর্তই ছিল ওকে কখনও বসিয়ে রাখা যাবে না । অবশ্য আমি কোন শর্তটাই ঠিক মত রাখতে পেরেছি ?
প্রত্যেকটাই তো ভেঙ্গেছি !
শর্ত ! কথাটা মনে হতেই কেমন জানি হাসি হাসল । নিশি আমাকে কতগুলো শর্ত দিয়েছিল ।
যখন প্রথমে ওকে প্রোপজ করেছিলাম নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন ।
আমার বুকের ভিতর ঢিপঢিপ করছিল । নিশি কি বলে এটা শোনার জন্য । কিন্তু নিশি যেটা বলল সেটা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না । নিশি বলল
-বিকেল বেলা টিএসসিতে আসবা । এফোর সাইজের একটা অপসেট পেপার নিয়ে ।
-এফোর অপসেট পেপার ?
নিশি আর দাড়াল না । আমি দ্বিধায় পরে গেলাম । প্রোপোজ করলাম উত্তরে হ্যা বলবে অথবা না বলবে কিন্তু কি বলল এফোর অফসেট পেপার আনতে কেন ?
আমি বিকেল বেলা অপসেট পেপার নিয়ে হাজির হলাম । নিশি আসলো একটু পরেই । আমার সামনে বসে বলল
-এনেছ কাগজ ?
আমি খানিকটা ভয়ে ভয়ে বললাম
-এনেছি ।
-আচ্ছা ! এবার লেখ !
লিখবো ?
কিভাবে লিখবো ? আমি বললাম
-কলম আনি নাই তো । তুমি বলেছিলে কাগজ আনতে ! কলম আনতে তো বল নি ।
নিশি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন । আমি মনে হল এইবারই বুঝি সব গেল । আমার ভালবাসা বুঝি শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল ।
আমি বললাম
-তুমি একটু বস । আমি এখনই কিনে আনছি ।
কোন মতে দৌড়ে গিয়ে কিনে আনলাম । আমাকে কলম কিনে আনতে দেখে নিশির গাম্ভির্য খানিকটা কমে এল । বলল
-লেখ ।
আমি লিখতে শুরু করলাম । নিশি বলল
-চুক্তি নামা ।
আমি লিখলাম ।
-নাম্বর এক । আমি যা বলব তাই হবে !
-আমি ?
নিশি বলল
-তুমি লেখ তুমি যা বরবে তাই হবে ।
তাই লিখলাম । তারপর নিশি বলে গেল । আর আমি লিখে গেলাম কোন
২. কোন হার্ট ফিলিংস না ।
৩. নো হাগ এন্ড নো কিস । তবে হাত ধরা যাবে ।
৪. কখন নিশিকে বসিয়ে রাখা যাবে না ।
৫. ঝগড়া বাধলে চুপ করে থাকতে হবে । এবং পরাজয় স্বীকার করে নিতে হবে ।
৬. সপ্তাহে নিয়ম করে সময় দিতে হবে !
৭. বিয়ের কথা বলা যাবে না !
৮. রিলেশন ১ বছরের বেশি ষ্টে করবে না !
৯. সেখানে দেখা করতে বলা হবে ঠিক সেখানেই দেখা করতে হবে !
১০. অন্য কোন মেয়ের দিকে ভুলেও তাকানো যাবে না !
আমি বেশ কিছুক্ষন শর্ত গুলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম ! আমি কি প্রেম করতে যাচ্ছি নাকি জেল খানায় যাচ্ছি ?
আমি বললাম
-এই টুকুই ? আর নেই !
নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপাতত এটুকুই ! কিছু জায়গা ফাকা রাখো ! সামনে দরকার হলে আরো লিখবো !
-আচ্ছা !
এইবার নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এবার বল তুমি এসব মানতে রাজি আছো ?
আমি কিছুক্ষন ভাবলাম চুপ করে ! আসলে আমার মাথায় তখন অন্য কিছু ছিল না । নিশিকে যেহেতু পছন্দ হয়েছিল অন্য কোন কিছু আমি ভাবছিলাম না ।
আমি বললাম
-আমি সব মানতে রাজি আছি !
নিশি একটু হাসলো কেবল !
আমার মনে আছে প্রথম যেদিন আমি একটা শর্ত ভেঙ্গেছিলাম । দুই নাম্বরটা । নিশির সেদিন গ্রামের বাড়ি যাবার কথা ছিল । আমি রেল স্টেশনে এসেছিলাম ওকে এগিয়ে দিতে । খুব কাছে যেতে পারছিলাম না ।
সাথে ওর বাবা মা ছিল । দুর থেকেই দেখছিলাম ওকে ।
ট্রেন টা যখন চলা শুরু করলো আমার কেন জানি মনে কিছু একটা আমার কাছ থেকে দুরে চলে যাচ্ছে । আমি ট্রেনের সাথে সাথে হাটতে লাগলাম । জানলা দিয়ে নিশিকে দেখতে পাচ্ছি ।
নিশি নিজেও আমাকে দেখতে পাচ্ছে । ট্রেনের গতি বাড়ছে সাথে সাথে আমার নিজেরও । এক সময় ট্রেনটা প্লটফম ছাড়িয়ে গেল আমকে থামতে হল ।
আমি কেন জানি তখন খুব অসহায় বোধ করছিলাম । আমি নিশিকে ফোন করতে যাবো ঠিক তখনই নিশির ফোন এসে হাজির ।
আমি কিছু বলার আগেই নিশি বলল
-তুমি তোমার শর্ত ভঙ্গ করেছ !
-কোথায় করলাম ?
-আমি বলেছিলাম কোন হার্ট ফিলিংস না । তাহলে এটা কি ছিল ?
আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম ।
নিশি আবার বলল
-আমি চলে যাচ্ছি দেখে তোমার চোখে আমি একটা আকুলতা একটা অস্থিরতা দেকতে পেলাম । এটা কেন হল ?
আমি আবারও চুপ করে রইলাম ।
-বল !
-তাহলে তো তুমিও শর্ত ভেঙ্গেছ !
-মানে ?
-মানে আমিও ঠিক একই জিনিস দেখেছি তোমার চোখে !
ওপাশ থেকে খানিক নিরবতা ! তারপর নিশি বলল
-আচ্ছা আমি রাখি !
আমার কথা আর না শুনেই নিশি ফোন রেখে দিল ।
আমি খুব ভাল করেই জানি আমার কথাই ও চিন্তায় পড়ে গেছে ! হাহাহাহা
সব চেয়ে কঠিন শর্তটা ভেঙ্গেছিলাম আরো কিছুদিন পরে । সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল । নিশির সাথে রিক্সা করে ফিরছিলাম । কাটাবনে আসতে না আসতে তুমুল বৃষ্টি ! কোন মনে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে বাচার চেষ্টা করছি ! এমন সময় আমার চোকখ গেল নিশির দিকে । ও নিজেও বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে ।
কিন্তু খুব বেশি লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না !
আমি তাকিয়ে আছি নিশির দিকে । বৃষ্টির পানি ওকে প্রায় ভিজিয়ে দিচ্ছে । ওর কিছু চুল ভিজে গেছে ! গালের সাথে কেমন লেপ্টে আছে । আমার কি হল আমি জানি না আমি ওর গালে লেপ্টে থাকা চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম । নিশি তখন আমার দিকে ভাল করে লক্ষ্য করে নি ।
ও তখনও বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত ।
আমি নিশির আর একটু কাছে গিয়ে ওর ভেজা গালে চুম খেলাম । কিভাবে খেলাম আমি নিজেও জানি না কিন্তু আমি নিজেকে ধরে রাখতেই পারি নি । নিশি প্রথম কিছুক্ষন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল । তারপর বলল
-কি করলে তুমি এটা ?
আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম ।
সত্যিই তো কি করলাম আমি এটা ?
এটা করা মোটেই ঠিক হয় নি আমার !!
আমি কেবল বললাম
-সরি !
-সরি ?
বাসায় নামার আগ পর্যন্ত নিশি আর একটা কথাও বলল না ! কেবল নামার পর বলল
-আই গেস এটাই আমাদের শেষ দেখা ! তুমি তোমার কথা ব্রেক করেছ । সুতরাং .....
নিশি কঠিন মুখে ভিতরে চলে গেল ।
আমি একটু ভয়ই পেয়েছিলাম । ভেবেছিলাম আর হয়তো হল না । ওকে কত বার ফোন দিলাম কত মেসেজ পাঠালম কোন রিপ্লে নাই ।
যখন প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছি ঠিক তখনই নিশি আবার ফোন করে দেখা করতে বলল ।
দেখা হওয়ার সাথে সাথে কত কথা যে বলতে লাগলাম । কতবার সরি বলতে শুরু করলাম । একটা সুযোগ যখন পেয়েছি কিছুতেই হাত ছাড়া করতে রাজি নই ।
নিশি মুখ গম্ভীর করে বলল
-এই বারই শেষ ! এর পরে কিন্তু আর সুযোগ দিবো না ।
আমি বললাম
-আর সুযোগ দিতে হবে না ! আসলে কি যে বলব ! তখন বৃষ্টিতে তোমার ভেজা গালটা এমন সুন্দর লাগছিল যে আমি কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারি নি ! আর তুমি তো জানোই তোমার গা....।
নিশি আমাকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল
-আচ্ছা ! আচ্ছা বুঝছি । এবার চুপ !
আমি নিশির আর একটু কাছে গিয়ে বসলাম । বললাম
-এখন আমার কি করতে ইচ্ছা করছে জানো ?
-কি ?
-আমার এতো আনন্দ হচ্ছে যে মনে হচ্ছে তোমাকে খুব জোরে একটা হাগ করি ! করবো ?
নিশি চোখ গরম করে বলল
-আবার ? আমি কিন্তু চলে যাবো.
-না না না !! আমি এমনি বললাম
এই রকম ভাবেই আস্তে আস্তে নিশির সব চুক্তিই গুলোই ভেঙ্গেছি আমি । কোন শর্ত ভাঙ্গলেই নিশি চোখ গরম করে বলত তুমি এটা কি করলে ? আজকের পর থেকে তুমি আর কোন দিন আমার সাথে যোগাযোগ করবা না?
যেদিন একটু বেশি রেগে যেত সেদিন তুই তুকারিতে চলে যেত ! একবার তো রাস্তার ভিতরে আমার হাত কামড়ে ধরলো ।
আমি হাসতে হাসতে শেষ !
অবশ্য ঐ দিনও একটা গুরুটর কাজ করেছিলাম । এর সাথে করে যাচ্ছিলাম শাহবাগের দিকে ! চারুকলার সামনে আসতেই দেখলাম একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে ! আসলে যত ভালই হই একটু এদিক ওদিক চোখ চলে যাই । নিশি আমার পাশে বসে আছে । যখন নিশি দেখলো আমার চোখ মেয়েটার দিকে !!
আর যাবে কই ??
আমাকে পারলে রাস্তার ভিতরেই চিবিয়ে খায় !!
-তুই ঐ মেয়েটার দিকে তাকালি ক্যান ?
আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম
-কোথায় ? না আমি তাকাই নাই !!
-তাকাস নাই !
এই বলে আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিল !
-আওওওওও !
আমিকোন মতে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম
-এটা কি ?
নিশি তখন রাগে ফুসছে !!
আমি বললাম
-বোঝা যাচ্ছে তোমার গায়ে এখনও বন মানবীর রক্ত আছে । কাচা মাংস খাওয়ার এতো সখ !!
নিশি আরও একটু যেন রেগে গেল !
-তুই নাম রিক্সা থেকে ! এখনই নাম !!
এই ভাবেই নিশির সাথে কতবার যে আমার ব্রেকআপ হয়েছে তার কোন ঠিক নাই ! নিশি বলেছিল রিলেশন এক বছরের বেশি রিলেশন রাখবে না ।
কিন্তু আজ তিন বছরের কাছাকাছি হতে চলল আমরাএক সাথে আছি ! আজ আবার আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে ! আমি খুব ভাল করেই জানি আজকেই আবার সব ঠিক হয়ে যাবে !
রাতে নিশিকে ফোন দিলাম । প্রথমবার ফোন ধরলো না । দ্বিতীয় বারেও না । তৃতীয় বার ফোন দিলাম না ! একটু অপেক্ষা করতে লাগলাম ! দুই মিনিটও হয় নি নিশির ফোন এসে হাজির !
ফোন রিসিভ করেই নিশি বলল
-দুই বার ফোন দিতেই হাপিয়ে গেলি ! ফাজিল ! এই ভালবাসিস !
-আরে তুই তোকারি কেন কর ?
-তুই একটা ফাজিল ! বদমাস !
-আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফাজিল !
-বসমাইশ !
-আচ্ছা বদমাইশ ! আর কিছু ?
-তুই একটা ডাইনি!
আমি বললাম
-আরে আমি ডাইনি হইলাম কিভাবে ! ডাইনি তো স্ত্রী লিঙ্গ ! তুমি হতে পারো ডাইনি !
- কি ? আমি ডাইনি ! তাহলে তুই রাক্ষস!!!
-তুমি আমার সুইট ভ্যাম্পায়্যার!!
-তুই ড্রাকুলা !!
-ওকে আমি ড্রাকুলা তাই এখন.........
-চোর, তোর ড্রাকুলা আমি বের করতেসি .....
-আচ্ছা বাবা ! তুমি যা বলবে সব আমি ! ঠিক আছে ? আর কিছু বানাবা আমাকে ?
-তুমি ....উউউমমম
যাক তুমি তে তো এসেছে ! আমি বললাম
-অনেকক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি ! একটু বারান্দায় আসো না ?
নিশি চুপ করে গেল ! কিছুক্ষন পরেই বারান্দায় এসে হাজির ! আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লাম ।
নিশি এক হাতে ফোন ধরে রেখে অন্য হাত দিয়ে আমাকে মারার ভঙ্গি করলো ! বলল
-এতো রাতে কেন এসেছো ! বাইরে কি ঠান্ডা পরেছে !
-হুম ! তাই তো দেখছি !
-আর ঠিক মত শীতের কাপড়ও পর নি ! তুমি কি একটা কাজ কর না ! বুঝি না !
-আচ্ছা বাবা ! ঠিক আছে ! এখন একটু নিচে নামো প্লিজ ! তোমাকে কাছ থেকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে !
-আহা !! মামা বাড়ির আবদার !! এখন আমি রুম থেকে নামবো না ! আমার মাথা খারাপ হয়েছে ! অত শখ থাকে তুমি উপরে আসো !
-আরে আমি চার তলায় কেমন করে আসবো ! একতলা হত দেখতাম চেষ্টা করে ।
নিশি আমাকে টাটা জানিয়ে বলল
-তাহলে তুমি বিদায় হও !! কাল দেখা হবে ।
-না আমি যাবো না । তুমি যদি না আসো তাহলে আমি যাবো না ! এখানেই দাড়িয়ে থাকবো ।
নিশিকে দেখলাম একটু সোজা হয়ে দাড়াতে ।
একটু খানি চুপ করে বলল
-দাড়িয়ে থাকো ।
সারা রাত দাড়িয়ে থাকো । আমি যাই । আমার ঘুম আসছে । বাই ।
নিশি ফোন রেখে দিল ।
তারপর ঘরের ভিতরে চলে গেল । আমি দাড়িয়ে রইলাম । আমি জানি ও আসবে । আসবেই .।
ঠিক পনের মিনিট পরেই নিশি এসে হাজির ।
কালো রংয়ের একটা চাদর জড়িয়ে !
-কি আসবে না বলে ?
নিশি আমাকে কপট রাগ দেখিয়ে বলল
-তোমার মত ফাজিলের সাথে কথা বলে লাভ নাই । দেখতে চাইছিলা দেখলা । এখন যাও । আমি খুব রিস্ক নিয়ে এসেছি । যাও ! বাবা যদি টের পায় !! আমার খবর আছে !
তারপরের কিছু ঘটনা না বলি !
৫ মিনিট পর !
নিশি বলল
-যাও এখন ! কালকে দেখা হবে ! আর শোন, বাইরে অনেক ঠান্ডা ! এই চাদরটা নিয়ে যাও !
নিশি আমাকে ওর গায়ের চাদরটা দিয়ে দিল ।
বলল
-সাবধনে যেও ! কেমন !
নিশির বাড়ির ভিতরে চলে গেল ।
আমি নিশির চাদরটা গায়ে জড়িয়ে হাটতে লাগলাম !!
আহা !! জীবন কত সুন্দর !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।