দেখিয়া শুনিয়া চরম বিরক্ত
ছবিতে দেখা যাচ্ছে আদালত প্রাংগনে দেইল্যা কিন্তু দেইল্যার হাতে কোরআন কেন? কোরআন কি হাতে নিয়ে ঘুরা ঘুরি করার জিনিস নাকি এর শিক্ষা অন্তরে ধারন করে অন্তর আলোকিত করার জিনিস?
আল্লাহ পাক মানুষের অন্তর দেখতে পান। অন্তরে কোরআন থাকলে আল্লাহ সেটা অটোমেটিক দেখবেন। অন্তরে কোরআন থাকলে তা আল্লাহকে দেখানোর জন্য হাতে নিয়ে ঘুরার কোন মানে নাই।
আল্লাহ পাক সব দেখেন সব বুঝেন। সেই মোতাবেক আল্লাহ সাহায্য করবেন।
দেইল্যা খুব ভালো কইরা জানে তার ভিতরে যে তথাকথিত কুরআন আছে সেটা দিয়ে আল্লাহ র কাছ থেকে সাহায্য সে পাবে না (পাইলে আজকে তার এই অবস্থা হয় না)। তদুপরি আল্লাহ কোন খুনী কে বা কোন ধর্ষণকারীকে সাহায্য করবেন না। তাহলে কি করতে হবে?
শো অফ করতে হবে। হাতে নিয়া ঘুরতে হবে। মানুষকে দেখাইতে হবে।
কোরআন কে শো করে ( কি জঘন্য) মানুষের কাছ থেকে সহানুভূতি আদায় করতে হবে। আর দেইল্যা এখন হুবুহু সেইটাই করতেছে।
আরে কোরআন শরীফ হাতে নিলেই কি তোর অতীত পাপ ধুয়ে মুছে যাবে রে দেইল্যা রাজাকার ?
ভাবখানা এমন, যে দেখো আমার হাতে কোরআন !আমি কত সাধু! আরে যে কোন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান বা কুখ্যাত সন্ত্রাসী বা খুনী ধর্ষক ই তো কোরআন হাতে নিতে পারে ! তারা যদি কোরআন হাতে নেয়, কোরআন কি বলবে আমাকে নামাইয়া দাও। তুমি পাপী, আমি তোমার হাতে যাব না?
দেইল্যা কিছুদিন আগে ছবি দিছিল নামাযের। পাবলিক খায় নাই।
পাবলিক বুইঝা গেসে যে নামায পড়ে আবার তার ছবি তুইলা রাখে, যে কোরান পড়ে আবার সেইটা সবাইরে দেখাইয়া বেড়ায়, যে দান খয়রাত করে আবার সেইটা ফলাও করে পত্রপত্রিকায় প্রচার করে- তারা সব এক কিসিমের !
এরা সব বাটপার, ধান্দাবাজ, সর্বোপরি ধর্ম কে জরিয়া করে করে নিজ নিজ দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিল কারীর দল - এরাই ধর্মব্যবসায়ী। এরা ধর্মের ক্যান্সার। এরা সমাজের ক্যান্সার। এদের প্রতিহত করুন।
মনে রাখবেন, ধর্মব্যবসায়ীকে সবাই ঘৃণা করে।
সবার আগে ঘৃণা করেন আল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।