আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইকবালীয় বচন এবং অবাধ যৌনাচারের বাংলাদেশ

“যে বয়সে ছেলে আর মেয়ের ভেতর সহজ ভাল লাগা ভালবাসা জন্ম নেওয়ার কথা,সেই বয়সে তারা সেই অনুভূতিগুলোকে অশ্রদ্ধা করতে শেখে”। জনাব ইকবালের কথা শুনে মনে হচ্ছে, শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিলে যৌবন পর্যন্ত মানুষের মনে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যখনই অনুভূতির সঞ্চারণ ঘটুক তাকে আটকে না রেখে প্রকাশ করেই ফেলা উচিত অন্যথায় এতে মানুষের ‘মুক্তচিন্তা’ প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যবর্গ অনেকটা সময় পশ্চিমা দেশে কাটানোয় তাদের মধ্যে এ ধরণের ভাবনার উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেন তিনি প্রতিবার তার লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘ফ্রি সেক্সের’ দেশ করার জন্য উস্কিয়ে দেন, তা সহজে বোধগম্য হয়না। এদেশে ভালোলাগার অনুভূতিকে অশ্রদ্ধা করা হয়না, বরং অপরিণত বয়সের অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে নিজেকে বিরত রাখার শিক্ষ দেওয়া হয়।

প্রতিবার তিনি তার লেখনীতে যেমন তরুণীদের কম জামাকাপড় পরাতে ভালবাসেন, তেমনি তরুণদেরও বিনা কারণেই ওই সকল তরুণীদের সাথে মাখামাখি করতে উদ্বুদ্ধ করেন। বোধকরি, তিনি তার তরুণ বয়সে অনেকটা ‘প্লেবয়’ ইমেজ ধারণ করতে চেয়েছিলেন। যা কোন কারণে সম্ভবপর না হয়ে ওঠায় তিনি তরুণ সমাজকে আদর্শ শিক্ষার নামে নৈতিক অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি যে অল্প বয়সের ভালোলাগা/ ভালবাসাকে উজাড় করে প্রকাশ করতে বলছেন, তাতে কি তার মনে হচ্ছে না, এর মাধ্যমে সমাজে ‘ইভ টিজিং’ নামক অপরাধটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে । নাকি তখন ‘ইভ টিজিং’ কারী বখাটে ছেলেরা বলবে আমরা ‘স্যার’ এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার মতাদর্শ অনুযায়ী চলছি।

অবশ্য এরকম কথা বললে সেই ছেলেদের ‘সোনার ছেলে’ মনে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কৃতকর্মে আরও বেশি সাহায্যও করতে পারেন। জনাব ইকবাল যেভাবে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের অল্প বয়স থেকেই অবাধ মেলামেশাকে স্বীকৃত করাতে চাচ্ছেন, তাতে মনে প্রশ্ন জাগে, যদি তার মেয়ের বয়স ১৪-১৫ হত এবং একদিন তার কাছে এসে বলতো, বাবা আমি ‘প্রেগন্যান্ট’ হয়ে পড়েছি কিন্ত আসলে বুঝতে পারছি না ঠিক কার কাছ ঠেকে এইটা হয়ে গেল। স্বাভাবিক বাঙালি পরিবার হলে অবশ্যই ঝড় বয়ে যেত ঘটনাটি নিয়ে। কিন্তু ইনি যে অস্বাভাবিক বাঙালি জনাব ইকবাল। তিনি বলবেন, এইটা কোন ব্যাপার হল।

বিকালেই তোমার মাম্মা কে নিয়ে ক্লিনিকে চলে যাবে। ওরাই সব ঠিক করে দিবে। আর এরপর থেকে সবসময় তোমার ফ্রেন্ডকে কনডম ব্যবহার করতে বলবে, আর কনডম না থাকলে তুমি একটা পিল খেয়ে নিবে। কেউকে ভালবাসা অপরাধের কিছু নয়, কিন্তু সবার সাথেই খোলামেলাভাবে মিশতে হবে আর দিনের শেষে কার হাত ধরে আপনি ঘরে ফিরবেন, তা যখন অনিশ্চিত; তখন বিষয়টা আসলে ভালবাসা থাকে না, অনেকটা ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মত হয়ে যায়। তাই বর্তমান তরুণ সমাজের উচিত কোন বিশেষ ব্যক্তিত্বকে অন্ধের মত অনুসরণ করার আগে সেই ব্যক্তির আদর্শের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্বর মিল খুঁজে বের করা।

অন্যথায় অনুসরণ করতে করতে একসময় স্বকীয়তা হারিয়ে জীবনটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.