আকসুর কর্মকর্তারা পরশু রাতেই যা বলার বলে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে। বিপিএলের ম্যাচ ফিক্সিং তদন্ত নিয়ে বিসিবির কাছ থেকে কিছু একটা শোনার কৌতূহল তাই কাল সকাল থেকেই। উত্তেজনা এমনই উচ্চ মাত্রায় চলে গিয়েছিল যে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওবি ভ্যানও পাঠিয়ে দিল একটা টেলিভিশন চ্যানেল। যদি লাইভ কিছু করতে হয়!
টুকটাক লাইভ কেউ কেউ করলেনও। তবে মিরপুরে কাল বড় কিছু করার মতো কিছু হয়নি শেষ পর্যন্ত।
সবাইকে আরেকটু অপেক্ষায় রেখে কাঙ্ক্ষিত সেই ‘কিছু একটা’ বিসিবি বলবে আজকের সংবাদ সম্মেলনে।
এই খবরটা জানার আগ পর্যন্ত কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয় ছিল ‘সাংবাদিকাকীর্ণ’। সবাই জানতে চায়, বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কী বলে গেলেন আকসুর কর্মকর্তারা? মোহাম্মদ আশরাফুলসহ অভিযুক্তদের ভবিষ্যৎ কী? ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক তিন ক্রিকেটারের ব্যাপারেই বা কী মতামত আকসুর? আকসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ যেহেতু আগের রাতেই হয়ে গেছে, সভাপতি নিশ্চয়ই সংবাদমাধ্যমে এসব নিয়ে কিছু একটা বলবেন। কিন্তু একপর্যায়ে জানা গেল, সভাপতি আসবেন না। মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসই বিসিবিতে ভিড় করা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন।
রাজি হলেন না তিনিও। ‘বিষয়টা সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবে জানি না, যা বলার বোর্ড সভাপতিই বলবেন’—দুর্দান্ত এক ডিফেন্স করে বসলেন সাবেক এই পেস বোলার।
জালাল ইউনুসের কথা ভুল নয় অবশ্য। আকসুর তদন্তের সঙ্গে বিসিবির খুব বেশি লোক সম্পৃক্ত নন। যাঁরা টুকটাক জানেন, মুখ খুলছেন না তাঁরাও।
বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলার আগ পর্যন্ত গুঞ্জন-ফিসফাসই তাই সার। তার মধ্যে বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠা ক্রিকেটারদের সাময়িকভাবে ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার বিষয়টি যেমন আছে, তেমনি সাবেক তিন ক্রিকেটারের ব্যাপারে বিসিবিকে আলাদা তদন্ত কমিটি করতে বলেছে আকসু, এমন আলোচনাও শোনা গেছে বিসিবির করিডরে।
সারা দিনে নিশ্চিত হওয়া গেছে একটা বিষয়ই—আকসুর কর্মকর্তারা এই দফা এসে যে সাত-আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তার মধ্যে আছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীও। আকসুর জিজ্ঞাসাবাদের পরও তিনি বেশ আশাবাদী, তদন্তে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হবে, ‘আমাদের ওপর সরাসরি কোনো দোষ আসার সম্ভাবনা দেখি না। সে রকম কিছু করে থাকলে আমাদের আর্থিক লেনদেনে তার প্রমাণ থাকত।
আকসু সে রকম কিছু দেখাতে পারেনি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু টেক্সট ম্যাসেজ এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে হওয়া কিছু আলোচনার প্রসঙ্গই এসেছে। ’
আশারফুল যদি আকসুকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিরুদ্ধে কিছু বলেও থাকেন, কিংবা দলের বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার যে অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলোও সঠিক নয় বলে দাবি তাঁর। ‘রফিক ভাই যদি এতটাই অনুগত হবেন, তাহলে এত দিন কেন এসব বললেন না? আমাদের সন্দেহ করলে কেন সেটা আগে বলেননি?’—প্রশ্ন শিহাবের।
ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কে ঘুরপাক খাচ্ছে এ রকম আরও অনেক প্রশ্ন।
বাংলাদেশে সাধারণত এ রকম প্রশ্নের উত্তর সব সময় মেলে না। তবে ক্রিকেটের গায়ে এবার যে কলঙ্ক লেগে গেল, সেটা ঢাকতে সব প্রশ্নের উত্তর জানাটা খুবই জরুরি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।